বাষ্প ইঞ্জিনে চেপে চীনে

১৮০৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রিচার্ড ত্রেভিথিকের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় প্রথম স্টিম লোকোমোটিভের। উনিশ শতকে শুরু হয়ে বিংশ শতাব্দীর মাঝ পর্যন্ত আসতে স্টিম লোকোমোটিভকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘপথ। হালের গ্রেট ব্রিটেন লোকোমোটিভ উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অগ্রগামী। কয়লা বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে লোকোমোটিভকে ট্রেনে রুপান্তর করা এবং গতি বাড়ানো সবই বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত উত্তরণের রাস্তা। পরবর্তী সময়ে কয়লার বদলে বিদ্যুৎ ও রুপান্তরিত জ্বালানির ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। আর এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করে ফ্রান্স এবং জাপান।

পরিবেশের ক্ষতি এবং কয়লার ব্যবহার কমাতে একটা সময় গোটা বিশ্বেই বন্ধ হয়ে যায় বাষ্প ইঞ্জিনচালিত লোকোমোটিভ ট্রেন। কয়েকটি দেশে দর্শনীয় উপাদান হিসেবে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে এখনও অল্প পরিসরে এই লোকোমোটিভ ব্যবহার করছে। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে। পুরো অঞ্চলে অনেকগুলো বড় কয়লা খনি থাকার ফলে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে উত্তোলিত কয়লাকে ট্রেনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর একাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৮২০-১৮৬০ সালের মধ্যকার সময়ে তৈরিকৃত ট্রেন।

সম্প্রতি চীনা আলোকচিত্রী লিউ ঝুঝেনের তোলা কিছু ছবি অনেকটা পথ ঘুরে পৌছায় কাতারভিত্তিক বার্তাসংস্থা আলজাজিরার কাছে। চীনের গনসু এবং জিনজিয়াং প্রদেশের উপর করা এই ছবিগুলোতে আমরা কয়লার ব্যবহার এবং পরিবেশে তার চাপ সংক্রান্ত গোটা পরিস্থিতি চাক্ষুষ করতে পারবো।
FRONT-3 FRONT-@ KOYLA PUBLIC



মন্তব্য চালু নেই