তিস্তায় হঠাৎ ঢল, কৃষকের মুখে হাসি

শুকনো মওসুমে পানির জন্য আর হাহাকার নেই। নেই ধূ ধূ বালুচরও। উজান নেমে হু হু করে নেমে আসছে পানি। ঢল নেমেছে তিস্তায়। লালমনিরহাটের তিস্তার ব্যারাজের সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় ভরপুর পানি পেয়ে খুশি কৃষকরা। এমনই চিত্র দেখা গেছে তিস্তাপাড়ে।

শনিবার মধ্য রাত থেকে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে ঢল নেমে আসায় শুকিয়ে যাওয়া তিস্তায় হু-হু করে বাড়ছে পানি। এতে নব যৌবনে ফিরেছে তিস্তা।

সূত্রমতে, রোববার সকালে তিস্তায় পানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০০ কিউসেকে। ব্যারাজের সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় ভরপুর এ পানি পেয়ে খুশি চাষীরা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রমতে, চলতি মওসুমে তিস্তার পানি কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছিল ১০০ কিউসেকে। অথচ এ নদীতে স্বাভাবিকভাবে গড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার কিউসেক পানি থাকা প্রয়োজন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করে। এ অবস্থা চলে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এদিকে হঠাৎ করে তিস্তার পানি হু-হু করে বৃদ্ধির বিষয়টি অবাক করে দিয়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে।

তিস্তাপাড়ের চাষীরা জানান, ভারত গজলডোবা ব্যারাজের গেট খুলে দেয়ার কারণে পানির জোয়ার বেড়ে যেতে পারে। রোববার হঠাৎ তিস্তার সেচখাল পানিতে ভরে উঠেছে। পানি ধরে রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনীয় এ পানি বড় উপকারে আসছে। এখন বোরো ধানের শীষ বেরিয়েছে। এ পানি পেয়ে ধানক্ষেত তরতাজা হয়ে উঠছে।

ডালিয়া পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুরুজ্জামান বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বাড়ছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে প্রবাহ ছিল দুই হাজার কিউসেক। তবে বিকেল তিনটার দিকে হঠাৎ বেড়ে দাঁড়ায় তিন হাজার পাঁচশ কিউসেক।

পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরো জানান, এবার খরিপ-১ মওসুমে ২৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু এখন সেচ দেয়া যাচ্ছে ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টর পর্যন্ত।



মন্তব্য চালু নেই