দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া লঞ্চডুবি
বালিয়াকান্দির একই পরিবারের নারী-শিশু তিনজনসহ ৬জনের লাশ উদ্ধার
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে বাঘাবাড়ী গামী এম ভি নারগিস নামে সারবোঝাই কার্গোর ধাক্কায় এম এল মোস্তফা নামের লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটে। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলাতে একই পরিবারের নারী-শিশু ৩জনসহ ৬জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম, আত্বীয় সোহেল মল্লিক, মহর আলী জানান, ওই লঞ্চের যাত্রী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামের ইয়ার আলী মোল্যার পরিবারের ৪জন ছিল। ৪জনের মধ্যে তার স্ত্রী বেদেনা বেগম (৪৫) প্রাণে বেঁচে যায়। তার ছেলে স্থানীয় আড়কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র মাসুম মোল্যা (১৩), মেয়ে পারুল বেগম (২৪) ও নাতি মারজানা (৫) মারা যায়। তারা মানিকগঞ্জ থেকে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে গ্রামের বাড়ীতে ফিরছিল। তাদের লাশ সনাক্ত করে বাড়ীতে এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
আড়কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মজিবর রহমান মৃধা জানান, মাসুম স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র। তবে সোমবার স্কুলে বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখন শোকে পরিনত হয়েছে।
বহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, ওই লঞ্চের যাত্রী উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের অপুর স্ত্রী নাসিমা বেগম (৪০) লাশ বাড়ীতে এনে দাফন করা হয়েছে। সে ঢাকা থেকে বাড়ী ফিরছিল। একই ইউনিয়নের বাবুলতলা গ্রামের আঃ সাত্তারের স্ত্রী মনজিলা বেগম (৪০) লাশ উদ্ধার হয়েছে ও তার বোনের মেয়ে পার্শ্ববর্তী বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ভীমনগর ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের রিপনের মেয়ে মারিয়া (৪) কে নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে লঞ্চডুবিতে নিখোঁজ রয়েছে।
বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের আবুল কালাম মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০) মানিকগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, মৃতের সংখ্যা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তালিকা করা হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই