বিচারের আশ্বাসে আটকৃত চোর মুক্ত

বালিয়াকান্দিতে ৭টি গ্রামের মানুষ চোরের অত্যাচারে অতিষ্ট

প্রবাদ আছে দশ দিন চোরের, গৃহস্তের একদিন । গায়ে স্যালো মেশিনে দেওয়া গ্রিস লাগিয়ে সিদ কেটে দীর্ঘদিন যাবৎ চুরি করে আসছিল। এ চোরের অত্যাচারে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ও বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার রাতে নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাইকুড়ি গ্রামের যুগল চন্দ্র রায়ের ছেলে লালন চন্দ্র রায়ের বাড়ী থেকে ১টি স্বর্ণের চেইন, জিয়েলগাড়ী গ্রামের নবদ্দি মন্ডলের ছেলে শৈলনের বাড়ী থেকে ৫হাজার টাকা, কাপড় ও মতিলাল মন্ডলের ছেলে অমরেন মাষ্টারের বাড়ীতে ঢুকে নগদ ১২ হাজার টাকা ও ১টি স্বর্ণের চেইন চুরি করতে গিয়ে অমরনের স্ত্রী দিপালীর হাতে ধরা পড়েছে সিদেল চোর মামুন। তার পিতার নাম পাটালী। বাড়ী বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের বাউনী গ্রামে।

এসময় ওই গৃহবধুকে ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত জখম করে পালানোর চেষ্টা করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে গায়ে ছাই ছিটিয়ে ধরে ফেলে। তাকে মারপিট দিয়ে বেধে রাখলে সে বড় কানাবিলা গ্রামের অজিত মন্ডলের বাড়ী থেকে গরু চুরিসহ দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের তালতলা, সোনাইকুড়ি, জিয়েলগাড়ী, বনগ্রাম, দুবলাবাড়ী, বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের বড়কানাবিলা, বাউনীসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রতিদিনই চুরি করে আসছিল বলে স্বীকার করে।

তাকে পুলিশে সোপর্দ না করে স্থানীয় ভাবে শালিসে বিচারের আশ্বাস দিয়ে বনগ্রাম ও বাউনীর গ্রাম্য মাতুব্বরা নিয়ে গেছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই