বালিয়াকান্দিতে বিরি উদ্ভাবিত ধান বীজ ব্যবহার কৃষকদের বাম্পার ফলনের আশা

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলাতে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভুমিহীন কৃষকদের বীজ নিরাপত্বা , উৎপাদন ও সংরক্ষণের লক্ষে ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট( বিরি) উদ্ভাবিত ভিত্তি বীজ বিনামুল্যে বিতরন করে পল্লী বন্ধু সংস্থা। এ বীজ ব্যবহার করে বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকদের আশা। তবে বর্তমানে ধানের অবস্থা দেখে কৃষকের মুখে হাসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

পল্লী বন্ধু সংস্থা বীজতলা প্রস্তুত, চারা রোপন, সার প্রয়োগ, বীজ সংরক্ষণ বিষয়ে কৃষকদের ধারনা প্রদান করে। পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট(বিরি) উদ্ভাবিত ভিত্তি বীজ বিনামুল্যে বিতরন করেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা অফিসের সিনিয়র অফিসার ড. মোহাম্মদ আমির হোসেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান, পল্লী বন্ধু সংস্থার পরিচালক রুহুল আমিন বুলু, বালিয়াকান্দি প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম সিজার, সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা, পারভেজ মিয়া , শহিদুল আলম মিয়া মিলন, উজ্জল হোসেন প্রমুখ।

বিনামুল্যে বেতেঙ্গা গ্রামের ৫জন, বালিয়াকান্দি ৫জন, স্বর্পবেতেঙ্গার ৫জন, জামালপুরের ৫জন, ইলিশকোল ৫জন , কোনাগ্রামের ৫জন ও বাঘুটিয়া গ্রামের ৫জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীর মধ্যে ব্রি-৩৩, ব্রি-৬৩, ব্রি-৫৭ এ ধান বীজ প্রদান করা হয়।

কৃষক সোহরাব, মজনু, রহিমা জানান, বিরি উদ্ভাবিত বীজের চারা রোপন করে অন্যান্যে বছরের চেয়ে ভালো গাছের চেহারা দেখা যাচ্ছে। তাতে মনে হচ্ছে বাম্পার ফলন হবে।

পল্লী বন্ধু সংস্থার পরিচালক রুহুল আমিন বুলু জানান, কৃষকের হাতে বীজের ভার তুলে দেওয়ার লক্ষে উন্নত মানের বিরি উদ্ভাবিত বীজ প্রদান করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই