বাঘের চেয়ে বিড়াল ভালো শিকারী
বেশিরভাগ বিড়াল পালকেরাই স্বীকার করেন যে তাদের বিড়ালের শিকার করার একটা সহজাত প্রবণতা আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য সব শিকারী প্রাণীর তুলনায় বিড়ালের শিকার করার দক্ষতা অনেক বেশি থাকে বলে জানিয়েছেন একদল পশু বিশেষজ্ঞ।
সম্প্রতি একদল পশু বিশেষজ্ঞ গৃহপালিত প্রাণীর উপর এক সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, গৃহপালিত বিড়ালের শিকার করার দক্ষতা অনেকাংশে সিংহ এবং বাঘের চেয়ে বেশি। আর বাস্তবতা হলো বিড়ালকে বাঘের মাসি বলা হয়। কারণ বাঘ ও বিড়াল একই গোত্রের।
ড. লিজ বুনিন ১০০টি বিড়ালের উপর নিবিঢ় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে আসেন। তিনি প্রত্যেকটি বিড়ালের শরীরে আলাদা আলাদা জিপিএস ট্র্যাকার এবং লুকোনো ক্যামেরা বসিয়ে দেন, এরপর নাগরিক পরিবেশে তাদের ছেড়ে দেন। বিড়ালের গলায় লুকোনো ক্যামেরা থেকে পাওয়া ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিড়াল অতিদ্রুত অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে শিকার করে নিজের উদরপুর্তি করতে পারে, যা বাঘ কিংবা সিংহের বেলায় দেখা যায় না বললেই চলে।
বাঘ যখন শিকারের পেছনে ছোটে তখন বাঘের থাবার নখগুলো মাংসের ভেতর লুকোনো অবস্থায় থাকে। যে কারণে শিকারের ঘাড়ে দাত বসানোর পরেই তবে বাঘ হাতের ধারালো নখ দিয়ে শিকারকে আক্রমন করতে পারে। কিন্তু বিড়ালের ক্ষেত্রে তা হয় না। বিড়াল শিকারের পেছনে দৌড়ানোর সময়ও তার ধারালো নখগুলো বের হয়ে থাকে। যে কারণে বিড়ালের থাবা থেকে শিকার খুব একটা ফসকায় না।
লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিড়ালের ব্যবহার বিশেষজ্ঞ ড. সারা ইলিস বলেন, ‘বিড়াল তাদের শিকারকে প্রথমে চিহ্নিত করে। এরপর ধাওয়া করে শিকারকে ধরে হত্যা করে। শিকারের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিড়াল রাগে গড়গড় করতে থাকে এবং শরীরের পেশি সংকুচিত হয়ে যায়।
মন্তব্য চালু নেই