বছরে বায়ুদূষণে মারা যায় ৬৫ লাখ মানুষ

বিশ্বে প্রতিবছর বায়ুদূষণের কারণে ৬৫ লাখ লোকের মৃত্যু হয়। বিশ্বে জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন না আনলে ২০৪০ সাল পর্যন্ত মৃত্যুর এ হার বাড়তে থাকবে। প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) সোমবার এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘরে-বাইরে দূষিত বাতাসের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ৬৫ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। অ্যাসিড, ধাতব পদার্থ, মাটি ও সালফার অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড কণিকা ব্যাপকভাবে বায়ুদূষণের কারণ। এসব ক্ষুদ্র কণিকা ফুসফুসে ক্যান্সার, স্ট্রোক ও দীর্ঘ মেয়াদে হৃদরোগে আক্রান্তের কারণ। আর এই হৃদরোগ দ্রুত মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয় এশিয়ার দেশগুলোতে। এ কারণে বায়ুদূষণজনিত মৃত্যুর ৯০ শতাংশই এ অঞ্চলে ঘটে।

দূষিত এসব উপাদানের অবমুক্তির কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে জ্বালানির অনিয়ন্ত্রিত এবং অপর্যাপ্ত উৎপাদন ও ব্যবহারকে দায়ী করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নেওয়া হলে ২০৪০ সাল নাগাদ প্রতিবছর বাড়ির বাইরে বায়ুদূষণের কারণে অকাল মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪৫ লাখে দাঁড়াবে। বর্তমানে বছরে ৩০ লাখ লোক বাড়ির বাইরে বায়ুদূষণের কারণে মারা যায়। বাড়ির ভেতরে বায়ুদূষণের কারণে অবশ্য মৃতের সংখ্যা কমতে পারে। বর্তমানে বাড়ির ভেতরে বায়ুদূষণের কারণে বছরে ৩৫ লাখ লোক মারা যায়। ২০৪০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা কমে ২৯ লাখে চলে আসতে পারে।

২০৪০ সাল নাগাদ বিশ্বে বায়ুদূষণের মাত্রা কমে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হলেও বিদ্যমান জ্বালানি পরিকল্পনা বাতাসের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালনে সক্ষম নয়।

আইইএ বলেছে, বিশ্বে জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার ব্যবস্থায় পরিবর্তন না আনলে বায়ুদূষণের কারণে মানবমৃত্যুর ভয়াবহ এ হার বাড়তে থাকবে।



মন্তব্য চালু নেই