পেঁচার ভয়ে রাস্তায় বেরুচ্ছে না মানুষ!
ন্যাদারল্যান্ডসের উত্তরাঞ্চলে পেঁচার ভয়ে রাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ! এক ক্ষ্যাপাটে পেঁচার অত্যাচারে অতিষ্ট সবাই। ইতিমধ্যে বেশক’জন জখম হয়েছে। বাধ্য হয়ে পুরমারেন্দ শহর কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের রাতের বেলা ছাতা নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
গত তিন সপ্তাহে ২০ জনেরও বেশি নগরবাসী মাথায় ভালো মতো জখম হয়েছে।
এই ইউরোপিয়ান ইগল পেঁচা নখর দিয়ে যারে তারে অকারণে আঁচড়ে দিচ্ছে। গত মঙ্গলবার দুই ব্যক্তির পিছু ধাওয়া করেছিল পেঁচাটি। তাদের মাথায় কমপক্ষে পাঁচ স্থানে জখম হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ ধরনের পেঁচা সাধারণত ছোট প্রজাতির স্তন্যপায়ী এবং পাখি শিকার করে।
এদিকে ডাচ ব্যাংক রাবো ব্যাংক এই আতঙ্কের নগরীতে বিজ্ঞাপনের মওকা পেয়েছে। তারা বাড়িবাড়ি ছাতা পাঠিয়ে দিচ্ছে।
ডাচ আউল ফাউন্ডেশন বলেছে, পশুপাখিরা সাধারণত বন্দিত্ব বা তাদের খাবারের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক থাকলে এমন আচরণ করে। আবার প্রজনন সময়ে হরমোনের প্রভাবেও এমনটি হতে পারে।
পুরমারেন্দ নগর কাউন্সিল পেঁচাটি ধরতে বা কোনো রকম আঘাত না করতে নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইগল আউল পৃথিবীর বৃহত্তম প্রজাতির পেঁচাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এগুলোর ডানার দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৮ মিটার এবং শরীরের ওজন ৩ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়।
মন্তব্য চালু নেই