নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতে ফের ভূমিকম্প

ভূমিকম্পের ক্ষত শুকাতে না শুকাতে নেপালে ফের আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। এই ভূকম্পন প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য মতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৭৬ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্ব এলাকা দোলখায়। শনিবার বিকেলে এটি আঘাত হানে। উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। তবে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো ৫ দশমিক ৫ বলে খবর প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পেশাগত সহকারী নিজাম উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বার্তা থেকে জানা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৫৯১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এর উৎপত্তিস্থল। উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৬, যা মাঝারি মানের।

ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার, এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার নেপালে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল প্রতিঘাত (আফটারশক)। এটি ভারতের রাজ্য বিহারের রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হয়েছে।
তবে তাৎক্ষনিকভাবে সর্বশেষ ভূমিকম্পে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে পরপর দুদিন একই মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হলো নেপালে। শুক্রবার ধাদিং জেলায় ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।

মূলত বড় কোনো ভূমিকম্পের পরে এ ধরনের ছোট থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এসব ভূমিকম্পকে বলা হয় আফটারশক। ২৫ এপ্রিল স্মরণকালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর নেপালে এ রকম দেড় শতাধিক আফটারশক অনুভূত হয়েছে।

১২ মে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে দোলখা জেলায়। ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬।

এর আগে ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। দেশটির ৮১ বছরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এতে অন্তত আট হাজার ৪৩১ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি। এতে নেপালের বিভিন্ন স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই