ট্রাম্পের বক্তব্যের ২০ মিনিটের মধ্যে ওষুধ কোম্পানির চরম লোকসান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাত্র ২০ মিনিটের বক্তব্যের মধ্যেই চরম লোকসানে পড়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন, ফিজার, মার্ক, অ্যামজেন, অ্যাবভি, ব্রিস্টল-মায়ার্স স্কুইব, গিলিয়াড, সেলজিন এবং এলি লিলি।

ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো “খুন করেও পার পেয়ে যাচ্ছে”– সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের বলা এমন কথার ধাক্কা বেশ জোরেসোরেই লেগেছে কোম্পানিগুলোর গায়ে।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ওষুধের দাম এবং সেই তুলনায় ওষুধ কোম্পানিগুলোর সরকারকে দেয়া ট্যাক্সের

আলোচনা শুরু করলে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ৯টি ওষুধ কোম্পানি পুঁজিবাজারের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সেক্টরের মূলধনে ২ হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলারের লোকসান গুনেছে।

ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার নিয়ে কাজ করে এসপিডিআর এসঅ্যান্ডপি বায়োটেক এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড। ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনের সময় ওই ফান্ডের প্রায় ৪ শতাংশ দরপতন হয়। আর আইশেয়ারস নাসদাক বায়োটেকনোলজি সূচকের পতন হয় ৩ শতাংশ।

এর মধ্যে সেলজিনের শেয়ারের ৩.৫ শতাংশ, জনসন অ্যান্ড জনসনের ১.৬১ শতাংশ, ব্রিস্টল-মায়ার্সের ৫.৫ শতাংশ, ফিজারের ২.৭৫ শতাংশ, অ্যামজেনের ২.২৭ শতাংশ, অ্যাবভির ৪.২ শতাংশ, গিলিয়াডের ২.৩ শতাংশ এবং এলি লিলির ২.৬ শতাংশ দরপতন হয়েছে। শুধু মার্কের শেয়ারের দর বুধবার বিকেলের পর ১.৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে বেশিরভাগ ওষুধ কোম্পানির নির্বাহীই আশ্বস্ত হয়েছিলেন। কেননা ট্রাম্পের ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন নির্বাচনী প্রচারণার সময় ওষুধ কোম্পানিগুলোর তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হলে তিনি ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি বন্ধ করতে কাজ করবেন।

কিন্তু ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনের পর বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন সেই নির্বাহীরাই।



মন্তব্য চালু নেই