জাতিসংঘে অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অর্থায়ন বন্ধ করতে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন বলে জানা গেছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের হাতে ওই আদেশের একটি খসড়া কপি আসে। সেই কপিতে দেখা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন জাতিসংঘে মার্কিন অর্থায়ন ৪০ শতাংশ কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়াও ওই নথিতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনে অর্থায়ন বন্ধ ও এমনকি সেসব সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়েছে।

প্রকাশিত সেই নথি অনুযায়ী, একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে যে , যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন ফিলিস্তিন স্বাধীনতা সংগঠন বা ফিলিস্তন কর্তৃপক্ষকে স্বীকৃতি দেবে বা সমর্থন করবে, গর্ভপাতের পক্ষে বলবে, ইরান বা উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধের বিরোধিতা করবে- সেসব সংস্থা বা সংগঠনে মার্কিন অর্থায়ন বন্ধ হবে।

সেই নথিতে আরেকটি আদেশে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি ও সংগঠন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যেসব চুক্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা বা বন্দি সমর্পণ বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেসব সংগঠন ত্যাগ ও তাতে অর্থায়ন বন্ধ করা হবে।

এ বিষয়ে ইউরোপের একজন সিনিয়র কূটনীতিক বলেন, “এটা হবে একটা বর্বর সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে বাস্তবে কী ঘটে। ”

জাতিসংঘে নিযুক্ত নতুন মার্কিন দূত নিকি হেলি বলেছেন, “জাতিসংঘে মার্কিন ব্যয় পুনর্বিবেচনা করা উচিত। বিশেষ করে যা দিচ্ছে তার প্রতিদান কী পাচ্ছে, সেই হিসেবে। ”

উল্লেখ্য জাতিসংঘে মোট বাজেটের ২২ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন পরিচালনা ব্যয়ের ২৯ শতাংশ অনুদান দেয় মার্কিন প্রশাসন।



মন্তব্য চালু নেই