জলদিই দেখা মিলবে ভিনগ্রহবাসীর

অনন্ত রহস্যের আধার আমাদের মহাবিশ্ব। এই মহাবিশ্বের কোথায় কি হচ্ছে তা এখনও আমাদের কাছে অজানা। বিজ্ঞানীদের কল্যাণে আমরা মহাবিশ্বের বিভিন্ন অনুষঙ্গ সম্পর্কে জানতে পারলেও এর ব্যাপ্তি এখনও আমাদের অজানা। মহাবিশ্ব এমন এক অধ্যায় যেখানে সময়কে কোনো গন্ডিতে বাধা যায় না। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আমাদের জানাচ্ছেন যে, শুধুমাত্র আমাদের গ্যালাক্সিতেই পৃথিবীর মতো ২০০ বিলিয়ন গ্রহ আছে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যায় মহাবিশ্বে এরকম কতগুলো গ্যালাক্সি আছে।

মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা সম্প্রতি দাবি করেছে যে, আগামী দশ থেকে বিশ বছরের মধ্যেই আমাদের সঙ্গে ভিনগ্রহবাসীর দেখা মিলতে পারে। আর এই ঘটনার জন্য মানবজাতিকে এখনই হুশিয়ার থাকার জন্যও সতর্ক করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এবিষয়ে নাসার প্রধান বিজ্ঞানী অ্যালেন স্টোফ্যান জানান, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা আগামী দশকের মধ্যেই জানতে পারবো পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্বের কথা। এবং দশ থেকে বিশ বছরের মধ্যে আমাদের হাতে নিরেট প্রমাণ চলে আসবে। আমরা জানি কোথায় এবং কিভাবে তাদের খুঁজতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের কাছে সেই প্রযুক্তি আছে।’

অ্যালেনের কথার রেশ ধরে অপর এক বিজ্ঞানী জেফরি নিউমার্ক বলেন, ‘এখানে অবশ্যই কোনো যদি নেই। কখন আমরা তাদের দেখা পাবো সেটাই এখন বিষয়।’ এছাড়াও গত বছরে অনুষ্ঠিত নাসার সম্মেলন থেকে বিজ্ঞানী গ্রীন দাবি করেন যে আগামী বিশ বছরের মধ্যে আমাদের সোলার সিস্টেমের বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের দেখা মিলবে।

সম্প্রতি মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মহাকাশের বেশ কয়েকটি স্থানে পানির দেখা পাওয়ার পরপরই এই ঘোষণা দেয়া হলো। এমনকি মঙ্গলগ্রহেও প্রায় দেড় বিলিয়ন বছর আগে পানির অস্তিত্ব ছিল বলেও বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন। পৃথিবীতে রয়েছে এমন অনেক পদার্থই মঙ্গল গ্রহে আছে এমন দাবি জানিয়ে নাসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন গ্রুন্সফেল্ড বলেন, ‘আমি মনে করি আর এক প্রজন্ম পরেই অনেক কিছুর সমাধান হয়ে যাবে যা বর্তমানে আমাদের সামনে রহস্য হিসেবে আছে। চাঁদ অথবা মঙ্গল খুব শীঘরিই আমাদের কাছে চেনা দুইটি গ্রহে পরিণত হবে।’

২০২০ সাল নাগাদ মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে আরও একটি রোভার পাঠাবে নাসার বিজ্ঞানীরা। ওই রোভারে থাকা বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে আগে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি ছিল না সে ব্যাপারে আরও নমুনা গ্রহন করবে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের মধ্যে মঙ্গলে বসতি স্থাপনের উপযোগি পরিবেশও তৈরি করা হবে বলেও নাসা কর্তৃপক্ষ জানায়। শুধু তাই নয় বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ ‘ইউরোপা’তেও ২০২২ সাল নাগাদ মাহাকাশযান পাঠানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে নাসা ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০১৮ সালে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি চালু করা হবে ভিনগ্রহবাসীদের ‘সুপার আর্থ’র খোঁজে।



মন্তব্য চালু নেই