খুলে গেছে নরকের দরজা!

সাইবেরিয়ার ইয়ামালে প্রায় ৮০ মিটার চওড়া গহ্বর আবিষ্কার করেছেন বৈজ্ঞানিকরা। গহ্বরটি কতটা গভীর তা এখনও মেপে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ধন্ধে পড়ে গেছেন ভূ-বৈজ্ঞানিকেরা।

ঠিক কী কারণে এমন বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা হিসাব। কেউ বলছেন উল্কাপিণ্ডের আঘাতে, কেউ বলছেন ভূগর্ভে বিস্ফোরণের জন্য কেউ বা বলছেন হঠাৎ মাটির নীচের পাথর সরে যাওয়ার কারণে এই গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে আবার ইউএফওর তত্ত্বও দিচ্ছেন।

আর স্থানীয়রা একে ‘নরকের দরজা’ উল্লেখ করে বিভিন্ন ধরণের কল্পকাহিনী ছড়াচ্ছেন।

রাশিয়ান ভাষায় ‘ইয়ামাল’ অর্থ ‘এন্ড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’। অর্থাৎ বিশ্বের শেষ প্রান্ত। কীসের ভিত্তিতে এই নামকরণ হয়েছে তাও অজানা। তবে এই ইয়ামাল রাশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার বোভানেনকোভো থেকে মাত্র ২০ মাইল দূরে। গহ্বরের মুখটি এতটাই বড়, যাতে বেশ কয়েকটি মিলিটারি হেলিকপ্টার একসঙ্গে এর মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। সাব-আর্ক্টিক সাইন্টিফিক রিসার্চ সেন্টারের বৈজ্ঞানিক আনা কুর্চাতোভা বিশ্বাস করেন, খনিজ লবণ, জল এবং ভূগর্ভস্থ গ্যাস মিলে এক বিস্ফোরণের ফলে এর সৃষ্টি হয়েছে।

যদি তার ধারণা সত্যি হয়, তবে রাশিয়ার জন্য তা খুব একটা সুসংবাদ হবে না। কারণ যদি আর একটি বিস্ফোরণ হয়, তবে বোভানেনকোভোর গ্যাসের পাইপ লাইনেও বিরাট বিস্ফোরণ হতে পারে। এর ফলে পৃথিবীজুড়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের আকাল তৈরি হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিপুল ভাণ্ডার। কারণ এখান থেকেই বিশ্বের অনেক দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান দেয় রাশিয়া।



মন্তব্য চালু নেই