ক্লান্ত মন্ত্রীর এক কাপ চা ৫শ টাকা!
ক্লান্ত মন্ত্রীর স্থানীয় একটি টঙ দোকানের রঙ চায়ে চুমুকে উপস্থিত জনতা হতবাক! দোকানদারের চায়ের দাম নিতে অপারগতা সত্ত্বেও মন্ত্রী চা বিক্রেতাকে চায়ের দাম দিলেন। তবে পাঁচ টাকা নয়, চায়ের দাম দিলেন পাঁচশ টাকা। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে পাঁচশ টাকা পেয়ে চা বিক্রেতা আনন্দে আত্মহারা।
বুধবার সিলেট-কোম্পানিগঞ্জ সড়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ ধলাই সেতু পরিদর্শনকালে এমনই একটি ঘটনার জন্ম দেন তিনি।
সাধারণ মানুষের মতোই চলাফেরা। এমনকি সব সময় সাদামাটা চলতেই ভালবাসেন এ মন্ত্রী। কথা-কাজে মিল রেখে চলার চেষ্টা করেন সবসময়। সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে তিনি একের পর এক নজির স্থাপন করেই চলেছেন।
অবশ্য ক্লান্ত দেহে এক কাপ চা পান শেষে স্থানীয় প্রতিনিধিরা ও এলাকার লোকজন চায়ের দাম না দিতে মন্ত্রীকে অনুরোধ করলেও তিনি তার স্বভাবসুলভ আচরণে সবাইকে মুগ্ধই করলেন।
চা বিক্রেতা আব্দুল্লাহ আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলেন, ‘আমি আজ খুব আনন্দিত! আমি ভাবতেও পারিনি দেশের একজন মন্ত্রী আমার ভাঙা দোকানে এসে চা পান করবেন।’
এসময় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হাবিব মিয়া নামের এক বৃদ্ধ লোক মন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চাইলে মন্ত্রী ওই লোককেও পাঁচশ টাকা দেন। মন্ত্রীর এমন মহানুভবতায় উপস্থিত জনতা সকলেই মুগ্ধ!
সকাল ১০টায় তিনি এসব অঞ্চল পরিদর্শন করতে সিলেট সার্কিট হাউজ থেকে যাত্রা শুরু করেন। সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটারের রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল হওয়ায় প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লাগে মন্ত্রীর।
পরিদর্শন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভোলাগঞ্জ এলাকায় রুস্তেমপুরস্থ ধলাই সেতুর উপর দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ রাস্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। এটাকে এমবিবিএস ডাক্তার দেখালে হবে না। এটাকে এফসিবিএস ডাক্তার দেখাতে হবে।’
পরে তিনি ক্ষুব্ধ জনতাকে অল্প দিনের মধ্যে রাস্তা মেরামত করে দেয়ার আশ্বাস দেন।
মন্তব্য চালু নেই