নিহত জঙ্গিদের গায়ে ছিল সুইসাইডাল ভেস্ট

সিলেটের জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের সব জঙ্গির শরীরেই বাঁধা ছিল সুইসাইডাল ভেস্ট। সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের অভিযানের সময় জঙ্গিরা তারও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সেই বিস্ফোরণেরই শব্দ শোনা যায় বলে জানান সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।

জঙ্গি আস্তানায় সেনা কমান্ডোদের অভিযানে তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল আহসান বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানায় এ পর্যন্ত চারজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের একজন নারী। তিনজন পুরুষ। তবে তারা কখন মারা গেছে, এবং তাদের নাম-ধাম জানাতে পারেননি তিনি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা কারা, কোত্থকে এসেছে, তা পুলিশ ও র‌্যাব বের করবে।’

ফখরুল আহসান বলেন, ‘ভেতর থেকে তারা এক্সপ্লোসিভ ফাটিয়েছে, গ্রেনেড চার্জ করেছে, গুলি করেছে। তারা প্রত্যেকেই সুইসাইডাল ভেস্ট পরা ছিল। পুরো বাড়ি কমান্ডোরা তল্লাশি করে দেখেছেন। প্রয়োজনে আরও তল্লাশি করা হবে।’ অভিযান শেষে হলে স্থানটিও পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

পুরো ভবনটা ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেন, ‘সে জন্য সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হচ্ছে। যে চারজন জঙ্গি এখানে ছিল, তারা বেশ ভালো প্রশিক্ষিত। তাদের খুঁজে বের করে মারা হয়েছে। এটা সেনাবাহিনীর বড় সফলতা বলে মনে করি।’

ফখরুল আহসান আরও বলেন, ‘সেনা অভিযান এখনও চলমান আছে। আরও কিছু সময় লাগতে পারে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাব। আস্তানা সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জঙ্গিরা কেউ আস্তানা থেকে বের হতে পারেনি। অপারেশন প্রক্রিয়ার মধ্যেই তারা নিহত হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় ‘আতিয়া মহল-এর নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে জানতে পারে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পরে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াতকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ধ্যা থেকে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল। পরদিন তারা ওই ভবনের অন্যান্য বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে আনে।

২৫ মার্চ সন্ধ্যায় আতিয়া মহলের পাশে দুই দফা কাউন্টার অ্যাটাকে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয় জন নিহত হন। আহত হয়েছেন র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানসহ অন্তত ৫০ জন।



মন্তব্য চালু নেই