৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামী নেতা কাদের মোল্লার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বাঙালি। বিকেল না হতেই শাহবাগ চত্বরে জমায়েত হয় বেশ কিছু যুবক। সূত্রপাত হয় ঐতিহাসিক এক আন্দোলনের। এই আন্দোলনের মূখপাত্র ছিলেন সম্প্রতি অব্যহতি পাওয়া ইমরান এইচ সরকার। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে অত্যন্ত আলোচনার বিষয় এই ইমরান এইচ সরকারের ‘১০০ পাঞ্জাবী’ প্রসঙ্গ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী’ শিরোনামে একটি অ্যালবাম আপলোড করেছেন জনৈক ডা. আইজূ। শনিবার রাতে তার ফেসবুকে এ অ্যালবামটি আপলোড করা হয়।

নানা ঘটনায় বিভক্ত হয়ে পড়া গণজাগরণ মঞ্চ থেকে সম্প্রতি মুখপাত্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান ইমরান। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিনই তার ব্যাপারে প্রকাশ করা হচ্ছে নানা তথ্য।

প্রচলিত আছে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনীতিবিদ পাঞ্জাবী পরেন। বামপন্থি রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে রাজনৈতিক মহলে একটি প্রবাদ আছে, ‘তারা একই ধরনের একাধিক পাঞ্জাবী কেনেন। কিন্তু লোকজন মনে করেন সৎ জীবনযাপন করতে গিয়ে তারা একই পাঞ্জাবী পরেন দিনের পর দিন।’ ডা. ইমরান এইচ সরকারও পাঞ্জাবী পরেন। কিন্তু ডা. আইজূ’র আপলোড করা অ্যালবাম দাবি করছে- তিনি ব্যতিক্রম। গণজাগরণ মঞ্চের মাত্র ১৪ মাসের আন্দোলনে তার পরনে দেখা গেছে নানা রঙের নিত্যনতুন পাঞ্জাবী।

ফেসবুকে প্রকাশিত ‘ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী’ অ্যালবামে দেখা গেছে, নানা রঙের পাঞ্জাবী পরে তিনি গণজাগরণ মঞ্চের অনুষ্ঠান ও কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। ছবিতে দেখা যায়, কেবল লাল রঙেরই পাঞ্জাবী পরেছেন ১০টির বেশি। সাদা পাঞ্জাবী পরেছেন অন্তত ১৫ ডিজাইনের। সাদা-কালো স্টেপের ডজনখানেক। সবুজ এবং নীল রঙেরও আছে একাধিক। সে অ্যালবামে নানা তীর্যক মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

এদিকে ডা. আইজূ তার ফেসবুকে ‘৫০দিনে ২২টি পাঞ্জাবী মাহমুদুল হক মুন্সীর’ শীর্ষক আরেকটি অ্যালবাম আপলোড করেছেন। ‘ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী’ অ্যালবামে কোন স্ট্যাটাস না লিখলেও ‘৫০দিনে ২২টি পাঞ্জাবী মাহমুদুল হক মুন্সীর’ অ্যালবামের সঙ্গে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘না শাহবাগের রাস্তায় রাস্তায় টাকা উড়তেসে-আমি এই মাত্র মাহমুদুল হক মুন্সী-যিনি কিনা ইমরান সরকারের বাজার সরকার তার ছবি কালেকট করলাম গত তিন মাসের এবং বার করলাম তিনি ২২টা পাঞ্জাবী পড়সেন ৫০ দিনে। এখন একুশটা পাঞ্জাবীর দাম যদি হয় ৫০,০০০ টাকা তাহলে সেটা কই থেকে আসল? শাহাবাগে কি টাকার গাছ না টাকার গাছে শাহবাগ!’