ইউক্রেন গৃহযুদ্ধ: মঙ্গলবারের পরই কঠিন পদক্ষেপ

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির ব্যর্থতা সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই। গতকাল সোমবার অব্দি সময় বাঁধা ছিল- দুই পক্ষ রণক্ষেত্রে ক্ষান্ত দেবে। বরাবরের মতোই সাড়া শূন্যগর্ভ। মিনস্কে শান্তিচুক্তি হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে তৃতীয় দিন। গতকাল পাওয়া গেছে রুশপন্থী নেতার উদ্ধত মন্তব্য। হামলা তারা চালাবেনই, ‘তাদের শহর।’ আজ একই উদ্ধত মন্তব্য করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। যুদ্ধ ততক্ষণ চলবে যতক্ষণ শত্রুবিনাশ না ঘটবে। দেবালৎসেভ তাই উত্তপ্ত। নগরবাসী বেসমেন্টে কোণঠাসা। জলবিহীন, বিদ্যুৎবিহীন।

এখন মিনস্কের টেবিলে বসে নেই কেউ। ফোন কানে ঠেকিয়ে নিরন্তর বাক্যালাপ চালাচ্ছে ইউক্রেন, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স। জার্মানি বলছে আজ মঙ্গলবার হবে পর্যবেক্ষণের শেষ দিন। এরপরই শক্ত পদক্ষেপে যাবে পর্যবেক্ষকেরা। কী হতে পারে সেই পদক্ষেপ, সে ব্যাপারে গণমাধ্যম অন্ধকারে। ইউরোপীয় পর্যবেক্ষকরা এখনও দেবালৎসেভের দেউড়ি অতিক্রম করতে পারেননি। রণাবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন তৈরিও তাই অবান্তর। উপায়ান্তর না দেখে পোরোশেঙ্কো, মের্কেলের ফোন বারবার রিংটোন বাজিয়ে নিচ্ছে পুতিনের ফোনে। পুতিন নির্বিকার। তাকে বলা হচ্ছে, ‘আপনি আপনার প্রভাব খাটান। রুশপন্থীদের নিরস্ত করুন। এটাই অস্ত্রবিরতির প্রথম ধাপ।’

ukraine-war-map

ঐ প্রথম ধাপটাই অর্জিত হচ্ছে না। তাই রণচক্রে খাবি খাচ্ছে ইউক্রেন, ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ।



মন্তব্য চালু নেই