অস্ট্রিয়ায় হিজাব নিষিদ্ধের ঘোষণা

ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায় প্রকাশ্যে পুরোপুরি মুখ ঢেকে রাখা বা হিজাব করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর ক্রিশ্চিয়ান কার্ন।

সোমবার আগামী ১৮ মাসের একটি পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি এ ঘোষণা দেন।

৩৫ পৃষ্ঠার এ পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ট্রিয়ায় বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত অভিবাসীদের একটি ‘খাপ খাওয়ার চুক্তি’ এবং ‘মূল্যবোধের ঘোষণাপত্রে’ স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হবে।

সরকারি কর্মকর্তাদের মাথা ঢেকে রাখার স্কার্ফের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। তবে তাদেরকে নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে পরিকল্পনায় অভিবাসীদের জন্য ‘আলোকিত মূল্যবোধ’ মেনে নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যারা এসব মূল্যবোধ ধারণ করবে না তাদেরকে আমাদের দেশ এবং সমাজ ছেড়ে যেতে হবে।

এমন কড়াকড়ির কারণ সম্পর্কে চ্যান্সেল কার্ন বলেন, ‘অস্ট্রিয়ায় বসবাসকারী ছয় লাখ মুসলমান আমাদের সমাজের কেউ নয়’ এমন অনুভূতি এড়াতে চান তিনি।

তবে চ্যান্সেলর ঘোষিত কর্মসূচির অনেক পদক্ষেপই বিস্তারিতভাবে আলোচনা শেষে পার্লামেন্টের অনুমোদনের পরই বলবৎ হবে।

৫১ বছর বয়সী কার্ন নতুন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আট মাস পর।

কার্নের দল সোশ্যাল ডেমোক্রাটস এবং মধ্য-ডানপন্থী পিপল পার্টির মহাজোট সরকারের আগের প্রধান ছিলেন ওয়ার্নার ফেইম্যান। কিন্তু অসন্তোষের মুখে কার্নের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বাধ্য হন তিনি।

ফেইম্যান এবং কার্ন উভয়েই দায়িত্ব পালনকালে প্রতিপক্ষ বিরোধী দল ফ্রিডম পার্টির কাছ থেকে অভিবাসন-নিরাপত্তা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইস্যুতে জোরালো বিরোধিতা মোকাবিলা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

ধারণা করা হচ্ছে অস্ট্রিয়ার জোট সরকার আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। সোমবার ঘোষিত পরিকল্পনা দেখে ধারণা করা হচ্ছে ২০১৮ সালের শেষে ক্ষমতার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও দেশ শাসন করতে চায় তারা।



মন্তব্য চালু নেই