সমস্যায় জর্জরিত ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

‘কোথাও নদীর পারে সময়ের বুকে- দাঁড়ায়ে রয়েছে আজো সাবেক কালের এক স্তিমিত প্রাসাদ; দেয়ালে একটি ছবি : বিচারসাপেক্ষভাবে নৃসিংহ উঠেছে; কোথাও মঙ্গল সংঘটন হ’য়ে যাবে অচিরাৎ। আজ এই সময়ের পারে এসে পুনরায় দেখে… আবহমানের ভাঁড় এসেছে গাধার পিঠে চ’ড়ে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের চিত্র যেন আজ জীবনানন্দের সেই কবিতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এর রয়েছে এক সুদীর্ঘ, সুবিশাল আর গৌরবময় ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের এক বিরাট অংশ ধরে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে যেমনিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত তেমনি জড়িত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও। ১৯২১ সালে ১ জুলাই অর্থাৎ জন্মলগ্ন থেকেই যত শিক্ষার্থী এখানে পড়াশুনা করে পাশ করে বের হয়েছেন সবার অম্লান আর অমলিন স্মৃতিবিজড়িত এই গ্রন্থাগার। প্রতিদিন প্রতিটি মুহূর্তে হাজারো শিক্ষার্থীদের ভিড়ে, তাদের পদচারণায় মুখরিত থাকে এই গ্রন্থাগার। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪টি বই, ৪১ হাজার ৪৮৩টি সাময়িকী ও জার্নাল রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, হাজারো বন্ধন আর প্রাণের মিলনমেলা এই গ্রন্থাগার তার নিজস্ব রূপ হারাচ্ছে দিনদিন। কর্তৃপক্ষের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা নষ্ট করে দিচ্ছে গ্রন্থাগারের পরিবেশ। সৃষ্টি হচ্ছে এক হিজিবিজি আর হ-য-ব-র-ল অবস্থা। নানা সমস্যায় জর্জরিত এই গ্রন্থাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নেই সংস্কার। নেই কোনো নতুনত্ব। বরং দিনদিন যেন এর সমস্যা বেড়েই চলেছে।

১০ বছর ধরে নেই নতুন জার্নাল

২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ গ্রন্থ’াগারে যুক্ত করতে পারেনি নতুন কোনো বই বা জার্নাল। বই কেনার জন্য প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকার ওপর বরাদ্দ থাকলেও এ খাতটি বরাবরের মতো অবহেলিত। সর্বশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এর বাজেট ১ কোটি ২০ লাখ। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ছাড়া লাইব্রেরির সার্বিক উন্নয়নের জন্য বাজেট রাখা হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ। প্রতিবছর এমন বাজেট থাকা সত্ত্বেও লাইব্রেরির খুব একটা পরিবর্তন হতে দেখা যায়নি গত কয়েক বছরে। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই কেনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ও গড়িমসি প্রমাণ করছে শিক্ষার মান কোথায় যাচ্ছে। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে এখন সাম্প্রতিক কালের কোনো বই নেই। এমনকি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সর্বশেষ সংস্করণের বইয়ের সঙ্গে পরিচিতও নয় প্রায় ১০ বছর ধরে।

তবে এ বিষয়ে লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. এস এম জাবেদ আলী বলেন, ২০০৫ সাল থেকে গত কয়েক বছর জার্নাল যুক্ত করা হয়নি। তবে গত দুই বছর ধরে আমরা প্রিন্ট জার্নাল বন্ধ করে দিয়ে তা অনলাইনে চালু করেছি। বর্তমানে অনলাইনে প্রায় ২৬ হাজার জার্নাল যুক্ত করা হয়েছে।

১৯২১ সালের ১ জুলাই তৎকালীন ঢাকা কলেজের গ্রন্থাগার থেকে পাওয়া ১৭ হাজার বই নিয়ে এ গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ছয় লাখের বেশি বই ও সাময়িকী আছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যুগোপযোগী বই না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষার চাহিদা পরিপূর্ণভাবে মেটাতে পারছে না গ্রন্থাগারটি। অন্যদিকে কম্পিউটারের মাধ্যমে বই, কল নম্বর সংগ্রহ করার ব্যবস্থা থাকলেও কল নম্বর অনুযায়ী বই খুব কমই পাওয়া যায়।

অবকাঠামোগত সুবিধার অভাব

অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাবে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি। গ্রন্থাগারে এখন পড়ালেখারও উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, গ্রন্থাগারে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধাও বাড়েনি। দরকারি বইয়ের চাহিদাপত্র দেওয়া হলে ‘নেই’ বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন গ্রন্থাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গ্রন্থ’াগারে এখন আড্ডা, টিউশনি আর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মহড়া বসছে। বিভাগকেন্দ্রীক বই কেনার চিত্রও হতাশাব্যাঞ্জক গ্রন্থাগারে। বরাদ্দ করা অর্থ একটি বইয়ের কয়েকটি কপি কিনতেই শেষ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে গ্রন্থাগারিক বলেন, লাইব্রেরির অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে বলে তিনি জানান।

আসন সংকট

শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই ভূগছেন আসন সংকটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসের তথ্য মতে, ২০১৩-১৪ সেশন পর্যন্ত বর্তমানে ১৩টি অনুষদের আওতাভুক্ত ৭০টি বিভাগে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীটটিতে উত্তরোত্তর বিভাগ ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বাড়ছে না লাইব্রেবির আসন সংখ্যা। কাটছে না ছিট-সংকট। ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে তাদের পড়াশুনার জন্য লাইব্রেরি রয়েছে মাত্র একটি। যার আসন সংখ্যা মাত্র ৬৬০টি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিদিন ভোর ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুতি নিতে হয় লাইব্রেরিতে যাওয়ার জন্য। কারণ সাড়ে ৭টার পর ঢুকলে আর ছিট পাওয়া যায় না। তার আগেই লাইনে দাঁড়াতে হয়। তীব্র শীতের সকালেও শিক্ষার্থীদের লাইনে দিতে কোনো আলস্য নেই যেন। লাইব্রেরি থেকে প্রতিদিন লাইন ডাকসু অথবা কলা অনুষদ ছাড়িয়ে যায়। এই সীমিত আসনের অনেক আসনই আবার ব্যবহারের অনুপযুক্ত। যার কারণে লাইব্রেরিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদেরকে পরতে হয় ভীষণ সমস্যায়।

এ ব্যাপারে গ্রন্থাগারিক বলেন, আসন-সংকট রয়েছে এটা ঠিক। ৬৬০টি সিটে থাকলেও সেখানে ১২০০ শিক্ষার্থী বসতে পারে। এভাবেই ছিটগুলো তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি আমরা আরো ১৫০টি আসন বাড়িয়েছি। ভবিষ্যতে আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বহিরাগতদের প্রবেশ বৃদ্ধি

লাইব্রেরিতে প্রবেশে নেই কোনো চেকিংয়ের ব্যবস্থা। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, এমন অনেকে ঢুকে পড়ে গ্রন্থাগারে। যার ফলে আসন-সংকট আরো তীব্র হয়। এত সংগ্রাম করে আসন পাওয়ার পরও থাকতে হয় দুঃশ্চিন্তায়। জরুরি প্রয়োজনে ছিট থেকে উঠলেই যে ছিট না পাওয়া আরেকজন এসে দখল করে নেন। আবার অনেকে লাইব্রেরিতে না আসা বন্ধুটির জন্যও আলাদা একটি আসন দখল করে রাখেন তার আসার অপেক্ষায়।

এ ব্যাপারে গ্রন্থাগারিক বলেন, লাইব্রেরিতে বাইরের লোক আসে ঠিক আছে। অনেকে তাদের বন্ধুদের নিয়ে আসে। যার কারণে এ সমস্যা হয়। আমরা মাঝে মাঝে আইডি কার্ড দেখি। তবে এটা নিয়মিত করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শব্দ দূষণ

লাইব্রেরির পাশে বসে আড্ডা দেয় ক্যাম্পাসে আসা অন্য শিক্ষার্থীরা। তাদের উচ্চ আওয়াজে অনেক সময় পড়তে হয় বিপাকে। চরমভাবে নষ্ট হয় পড়ার মনঃসংযোগ। লাইব্রেরিতে আওয়াজ করে কথা বলা, গল্প করা, ফোনালাপ করা, আওয়াজ করে চেয়ার টানাটানি নিষিদ্ধ থাকলেও এসবের নেই কোনো কার্যকারিতা। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে সবাই যে আবার পড়তে আসে তাও কিন্তু না। অনেকেই দল বেঁধে লাইব্রেরিতে এসে পড়াশোনার বদলে গল্পই বেশি করে। কেউবা প্রাইভেট পড়ানোর কাজটিও সেরে ফেলেন এই গ্রন্থাগারে বসেই! আবার কাউকে আসন দখল করে রাখতে দেখা যায় অন্য কারোর জন্য। অনেকে আবার লাইব্রেরিকেই বানিয়ে ফেলেন ডেটিং রুম। পড়ার আসনে বসে আওয়াজ করে ফোনে কথা বলা, পাশের ছিটমেটর সঙ্গে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার ফলে অন্যের পড়ায় ব্যঘাত ঘটে। অন্যদিকে পাশের রাস্তার যানবাহনের আওয়াজ তো আছেই। তবে কর্তৃপক্ষ বরাবরই এসব ব্যাপারে উদাসীন।

এ ব্যাপারে গ্রন্থাগারিক বলেন, প্রগতিশীল সংগঠনগুলো মিছিল শেষে সমাবেশ করে চলে যায়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরির পাশে বসে নিজেদের গল্প করে। এ বিষয়ে অভিযোগ আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টয়লেটের দুর্গন্ধ

গ্রন্থাগারে ঢুকতেই প্রথম তলার বাথরুমের দরজা থেকে ভেতর পর্যন্ত রয়েছে কাদামাখা স্যাঁত-স্যাঁতে অবস্থা। সেই সঙ্গে টয়লেট থেকে আসা অসহনীয় দুর্গন্ধ। টয়লেটের সিলিন্ডারসহ চারদিকে ছড়িয়ে আছে ব্যবহৃত টিস্যু। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার টয়লেটগুলোরও একই অবস্থা। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত আসন-সংকট নীরসনসহ পর্যাপ্ত শৌচাগার বৃদ্ধি করা এবং এর সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

এ ব্যাপারে গ্রন্থাগারিক বলেন, এ সমস্যা ইদানিং বেড়ে গেছে। মূলত জায়গা সঙ্কুলানের কারণে এ সমস্যাটা প্রকট হয়েছে। টয়লেটের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি, খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে।

ফটোকপি সমস্যা

ফটোকপি মেশিনের অপ্রতুলতায় ফটোকপি করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদেরকে। ফলে দীর্ঘসময় পার করতে হয় বই কপি করার জন্য। কপির জন্য বই দিলে কখনো ‘আগামীকাল আসবেন’ বলে রেখে দেন কর্মচারীরা।

গ্রন্থাগারে কর্মচারীদের অনেকেই অদক্ষ। অনেকেই আছেন এসএসসি অথবা তার নিচের শ্রেণির। যার কারণে অনেকেই ঠিকভাবে বুঝতে না পেরে বই ডেলিভারি দিতে পারেন না। ফলে প্রতিদিনই ফটোকপি সমস্যায় পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।

অভিযোগ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রন্থাগার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যাথা নেই। গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. এস এম জাবেদ আলী এসব বিষয়ে বলেন, ‘গ্রন্থাগারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট খুবই কম। বিভিন্ন বিভাগের জন্য যেসব বই ও জার্নাল দরকার তা ক্রয়ের জন্য বর্তমান বাজেটের চেয়ে তিন গুণ বেশি বাজেট প্রয়োজন। এ ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাজেট বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তবে আমরা সব সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছি।’

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে ঢাবি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, শত বছরের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই আলোর ছড়ানো ছিটানো আনন্দকে সাথী করে পুলকিত হয়ে আছে শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের প্রিয়প্রাঙ্গণ। শিক্ষার্থীদের প্রিয়প্রাঙ্গণে একটি নাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। এখানে জানার যে সুযোগ রয়েছে, সে সুযোগের সূত্র ধরেই শিক্ষার অনন্ত পথ ধরে হাঁটতে থাকে তারা। তাদের এই পথচলা আমাদের দেশ ও দেশের মানুষকে একটি শিক্ষিত প্রজন্ম উপহার দেবে।

এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে কথা বললে সামগ্রিক সমস্যাগুলো স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী রয়েছে, সে তুলনায় আসলে লাইব্রেরিতে আসন দেওয়া সম্ভব নয়। প্রথমে এটি মাত্র ৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বর্তমানে ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। বাজেট না থাকায় নতুন করে লাইব্রেরিও স্থাপন করা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর বই কেনা যায়নি। এটা কোনোক্রমেই ঠিক হয়নি। তবে বরাদ্দকৃত অর্থ জমা রয়েছে। এ অর্থ দিয়ে বই কেনা যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও বই অনুপাত করলে বিশাল একটা গ্যাপ রয়েছে। যেহেতু লাইব্রেরিতে আর আসন বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই আমরা ইন্টারনেট লাইব্রেরি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই লাইব্রেরির বইগুলো পড়তে পারবে।’



মন্তব্য চালু নেই