ইজতেমায় ৫ মুসল্লির মৃত্যু

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবারও টঙ্গী অভিমুখী বাস, ট্রাক, ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে মানুষ আসছে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের এ ঢল অব্যাহত থাকবে।

বাদ ফজর থেকে বয়ান করেছেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল হোসেন গোদরা। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করে বয়ান শুনছেন।

এ পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমায় আসা পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ইজতেমা মাঠেই অসুস্থ হয়ে মারা যান জাহাঙ্গীর আলম (৭০)। তিনি ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডার মাহদুদুল হাসানের ছেলে। একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান মো. আবদুস সালাম (৫০)। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কিত্তনীয়া এলাকার মহর আলীর ছেলে। রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে মারা যান নাটোরের নলডাঙ্গা এলাকার মৃত নাদের মন্ডলের ছেলে কফিল উদ্দিন (৬৫)। শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিয়াজ উদ্দিন (৭০)। তাৎক্ষণিক টঙ্গী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। রিয়াজ উদ্দিন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবার নাম আক্কাস আলী। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে মারা যান কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকার খাইরুল কবীর (৬০)। এ ছাড়া রাত ৯টা থেকে সকাল পর্যন্ত টঙ্গী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ৭৫ জন মুসল্লিকে। এদের মধ্যে সাতজন টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে দেশের ৩১টি জেলার মুসল্লিরা ৪০টি খিত্তায় এবং বিদেশি মুসল্লিরা মাঠের উত্তর-পশ্চিম পাশে নির্মিত বিদেশি নিবাসে অবস্থান নিয়ে বয়ান শুনছেন। ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চ থেকে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিরা আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করেন। মূল বয়ান ঊর্দুতে হলেও সঙ্গে সঙ্গে ওই বয়ান বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য অনুবাদ করা হয়।

কাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বিদেশি নিবাসের পূর্ব পাশে বিশেষ মোনাজাত মঞ্চ থেকে রোববার বেলা ১১টা থেকে জোহরের নামাজের আগে যেকোনো সময় আখেরি মোনাজাত শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব এবং একইভাবে শেষ হবে ১৮ জানুয়ারি।

যৌতুকবিহীন বিয়ে : তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার দ্বিতীয় দিন (শনিবার) বাদ আসর যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বয়ান মঞ্চের পাশে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর বসে। কনের (মেয়ের) সম্মতিতে এবং বর, বরপক্ষ ও কনপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে ওই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পর নব দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করে মোনাজাত করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই