প্রেমিকার সামনে প্রেমিকের আগুনে আত্মাহুতির চেষ্টা

তুমি যখন চলেই যাবে, তবে আমার এ জীবন রেখেই বা কী? এ জীবন আর রাখব না- এ কথা বলে প্রেমিকার চোখের সামনে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এক যুবক। তার নাম সুমন কুমার পাল (২৬)। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডি থানাধীন সোবহানবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ন ইউনিটের ডিউটি ডাক্তার ফাহমিদা জানান, সুমন কুমার পালের শরীরের ৩৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

ঢামেক হাসপাতালে সুমনের বন্ধুরা জানান, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি থেকে সুমন সিএসই পাস করেছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র এক ছাত্রীর সঙ্গে সুমনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের কথা ছিল সুমন ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করে চাকরি নেবে। এরপর তারা বিয়ে করে সংসার শুরু করবে। কিন্তু সুমন সোনার হরিণ চাকরি আর জোগাড় করতে পারছিল না। এ অবস্থায় প্রেমিকা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানায়। এতে সুমন অনেকটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।

শনিবার সন্ধ্যায় সুমন সোবহানবাগে ডেন্টাল কলেজের পেছনে তার প্রেমিকাকে ডেকে আনে। দু’জনের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সুমনের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায় তার প্রেমিকা। এ সময় সুমন নিজের কাছে থাকা কেরোসিনের বোতল বের করে গায়ে ঢেলে দেয়। এরপর ‘তুমি যখন চলেই যাবে, তবে আমার এ জীবন রেখেই বা কী লাভ? এ জীবন আর রাখবোই না’ বলে গায়ে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সুমনের এমন আচরণে তার প্রেমিকা হতভম্ব হয়ে পড়ে। তার চিৎকারে তখন আশপাশের লোকজন এসে সুমনের গায়ের আগুন নেভায়। পরে সন্ধ্যা ৭টায় তারই পরিচিত কামরুল সুমনকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। তিনি জানান, সুমন কুমার পাল যশোরের অভয়নগরের চলিশিয়া গ্রামের স্বপন কুমার পালের ছেলে। ধানমণ্ডির তল্লারবাগ এলাকায় একটি মেসে থাকে সে।



মন্তব্য চালু নেই