চাঁদাবাজের খপ্পরে প্রেমিক : প্রেমিকা সিএনজি চালকের খপ্পরে ॥ অবশেষে প্রেমিকের জন্য বাড়ি ছেড়ে কী পেল প্রেমিকা?

লক্ষ্মীপুর রামগতির প্রেমিক। নোয়াখালীর চাঁদাবাজের খপ্পরে প্রেমিক। লম্পট সিএনজি চালকের খপ্পরে প্রেমিকা। লম্পট সিএনজি চালকের খপ্পর হতে উদ্ধার! প্রেমিকের খবর নাই!!

প্রেমিকা সূত্রে জানা যায় যে, গত ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার সময় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলাধীন রামধর বাজার গ্রামের শাজাহান মাঝির ছেলে রাছেলের সাথে একই গ্রামের হাসেম মিয়ার মেয়ে মুনিয়া আক্তার শাহ্নাজ (১৫) এর দীর্ঘ ১ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বাড়ি হতে বের হয়ে নোয়াখালীর সদর উপজেলাধীন মাইজদী শহরের প্রাণকেন্দ্রে নতুন বাসস্ট্যান্ডে আসে। অত:পর নতুন বাসস্ট্যান্ডে একটি অজ্ঞাতনামা হোটেলে প্রেমিক যুগল সারারাত অবস্থানের পর ৮ জানুয়ারি সকাল ৮টার সময় অজ্ঞাতনামা কিছু সন্ত্রাসী প্রেমিক রাছেলকে সন্ত্রাসী কায়দায় তার সাথে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা সহ তাকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। প্রেমিকা ভয়ে তদস্থল হতে মাইজদী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে কামাল ব্রাদার্সে এসে ফোন করতে গেলে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থানরত লম্পট সিএনজি চালক সদর উপজেলার ১১ নং নেয়াজপুর ইউনিয়নের পূর্ব দেবীপুর সাকিনের সুলতান মেস্তুরী বাড়ীর আবদুল মতিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৭) এর খপ্পরে পড়ে। উক্ত লম্পট দেলোয়ার হোসেন ভিকটিম শাহনাজ (১৫)-কে তার পিতা-মাতার নিকট পৌঁছে দিবে বলে প্রতিজ্ঞা করে অবশেষে লম্পট ড্রাইভারের মামির বাড়িতে নিয়ে বিবাহের প্রস্তাব দেয় ও সুখ-শান্তি দেবে বলে প্রলোভন দেয়। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মাঠ বাড়িয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্রী ভিকটিম শাহনাজ (১৫) এর শ্রেণি ক্রমিক ০৪ মর্মে জানা যায়।

উক্ত শাহনাজ লম্পট সিএনজি ড্রাইভারের কথায় ও প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নোয়াখালীর সদর উপজেলাধীন লম্পট সিএনজি ড্রাইভারের মামির বাড়ি পূর্ব দেবীপুর সাকিনে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। লম্পটের অমানুষিক কার্যকলাপ দেখে তার মামি, লম্পটের ২য় স্ত্রী কবিরহাটের পদুয়া গ্রামের অজিউদ্দিনের বাড়ির সফি উল্যার মেয়ে শিউলিকে ফোন করে। তৎনাৎ লম্পট সিএনজি ড্রাইভারের ২য় স্ত্রী শিউলি বেগম লম্পটের মামির বাড়ি এসে শাহনাজ (১৫) এর উপর আরো নির্যাতন বেড়ে যায়। এসুযোগে লম্পট সিএনজি ড্রাইভার দেলোয়ারের বন্ধু ১০ নং অশ্বদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অশ্বদিয়া গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে ফয়েজের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় লোকের সন্দেহ হলে শাহনাজকে ও সিএনজি চালক দেলোয়ারকে আটক করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুধারাম মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক চিরঞ্জীব দাস ভিকটিম শাহনাজ (১৫)-কে ৯জানুয়ারি রাত ১০ টার সময় উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লম্পট সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেন (২৭) পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়- লম্পট সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেন ইতোপূর্বে আরো কয়েকটি অবলা মেয়েকে একই কায়দায় তার পাতানো ফাঁদে পেলে ২টি মেয়েকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। লম্পট সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রীদ্বয়ের নাম ঠিকানা যথাক্রমে- ১ম স্ত্রী ফাতেমা, পিতা- অজ্ঞাত, সাং- নূর সোনাপুর, থানা- বেগমগঞ্জ, ২য় স্ত্রী শিউলী বেগম, পিতা- সফি উল্যা, সাং- পদুয়া (অজি উদ্দিনের বাড়ি), থানা- কবিরহাট, উভয় জেলা- নোয়াখালী। ১ম স্ত্রীর রবিন (৭) নামে একটি ছেলে আছে। ২য় স্ত্রীর সামিয়া (৩) নামে একটি মেয়ে আছে। অবশেষে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার রামদয়ালপুর গ্রামের ৯ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী শাহনাজ (১৫) ভাগ্য বশত: জনগণ কর্তৃক পুলিশের সহায়তায় লম্পট সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেন (২৭) এর বন্ধু ফয়েজের বাড়ি হতে ফুলের মত জীবনকে ফিরে পায়।

এদিকে সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের সহিত যোগাযোগ করলে জানান খবর পাওয়া মাত্রই ভিকটিমকে উদ্ধারের তৎপর হয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার কিন্তু সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেন (২৭) পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিক রাছেলের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই