বালিয়াকান্দিতে ভেজাল ডিএপি সারে সয়লাব ॥ কৃষকরা সর্বশান্ত ॥ কর্তৃপক্ষ নিরব

ভেজাল সারে আবার সয়লাব হয়েছে বাজার। সার ক্রয় করে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে। ১১ দিন পুর্বে গত ৫ মে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা শহরের ইলিশকোল বাজারের মেসার্স সুজিত কুমার সাহার সারের দোকান থেকে ১ বস্তা ডিএপি সার ক্রয় করে বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামের ইয়ারউদ্দিন মন্ডলের ছেলে কৃষক ইউনুছ মন্ডল। এ সার ক্ষেতে নিয়ে বোনার পর বৃষ্টি হলেও গলছে না।

কৃষক ইউনুছ আলী মন্ডল জানান, ১ বস্তা সার ক্রয় করে গত ৫ মে বালিয়াকান্দি ইলিশকোল বাজারের মেসার্স সুজিত সাহার দোকান থেকে। ওইদিন সার ক্রয় করে নিয়ে পাট ক্ষেতে সার বোনা হলেও ১১ দিন অতিবাহিত হলেও সার গলেনি। ফলে জমি থেকে সার এনে তিনি ভেজাল দাবী করে।

তিনি আরো জানান, এভাবে কৃষকরা ভেজাল সার ক্রয় করে ক্ষেতে দিয়ে মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়ছে। তিনি ভেজাল সার বিক্রি কারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ইলিশকোল গ্রামের আব্দুল খালেক শেখের ছেলে কৃষক শিহাব উদ্দিন জানান, ১৫দিন পুর্বে একই বাজারের লোকমান খানের সারের দোকান থেকে ৩০ কেজি ডিএপি সার ক্রয় করে জমিতে দেয়। সে সারও জমিতে পাথরের মত দেখা যাচ্ছে। যার নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছে। তিনিও ভেজাল সার বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

খুচরা ব্যবসায়ী লোকমান খান জানান, আমি সার ক্রয় করেছি মেসার্স সুজিত সাহার দোকান থেকে। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ সার বিক্রি করে আসলেও আমাকে কোন মেমো প্রদান করা হয় না। ভেজাল সার হলে আমার কি দোষ। যারা বিক্রি করছে তাদের ধরেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা গোলাম ছামদানী জানান, আমি বাহিরে আছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিপুর্বে মেসার্স সুজিত সাহা ভেজাল সার বিক্রির দায়ে তুঘলকি কান্ড ঘটে।



মন্তব্য চালু নেই