চলনবিলে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্করা

গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কাঠফাঁটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে প্রাণীকূল। দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ভাইরাসজনিত জ্বর ও হিটস্ট্রোক জনিত রোগ। বয়স্করা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে।

ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, বড়াইগ্রাম ও ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে।

দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া ও ভাইরাস জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। কৃষি শ্রমিকের চরম সংকট দেখা দেওয়ায় বোরো চাষীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। গত দু’দিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত অর্ধশত শিশু বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

শুক্রবার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের সবুজ হোসেনের ছেলে ইয়ামিন (১), চামটা গ্রামের আব্দুল রশিদের মেয়ে শারমিন আকতার (৫), ভাদরা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সুমন (১০), দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের আঃ কুদ্দুসের ছেলে আবির (৩). বরদানগরের আহম্মদ আলীর ছেলে সাদ্দাম (৭), কাটেঙ্গার ইকবাল হোসেনের মেয়ে মতিয়া (৩) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চাটমোহর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এ ছাড়া হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত চাটমোহর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের জেলেম উদ্দিনের স্ত্রী মালেকা বেগম (৫২) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত উপজেলার চিরইল গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সিয়াম (৪৫ দিন) চিকিৎসাধীন আছে। হাসপাতালগুলো রোগিতে ঠাসা।

চাটমোহর উপজেলা ৫০ শয্যার হাসপাতালে রোগির প্রচন্ড ভীড়, জায়গা নেই কোথাও। বারান্দা ও মেঝেতে গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন রোগিরা। প্রচন্ড গরম আর তাপদাহের কারণে দুপুরের আগেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ধান কাটতে গিয়ে কৃষি শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বেশী পারিশ্রমিক দিয়েও কৃষি শ্রমিক মিলছে না। ফলে বোরো চাষীরা ঝড়-বৃষ্টির ভয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন।

এব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মঞ্জুরা রহমান জানান, ডায়রিয়া রোগীদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। গরমের কারণে সাধারনত মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই