নির্বাচনের আগে হুঁশিয়ারি দিলেও ভোট চলাকালে সংঘর্ষ ও জালভোট বিষয়ে
কোনো জবাব দিলেন না সিইসি
কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না বলে আগে হুঁশিয়ারি দিলেও ভোট চলাকালে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনো মন্তব্য করলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ, জালভোট ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার মতো ঘটনা রোধে কী করা হচ্ছে জানতে চাইলে তার কোনো জবাব দেননি সিইসি।
“আপনারা দেখান, আপনারা দেখান,” শুধু এটুকু বললেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু থেকে শেরেবাংলানগরে কমিশন কার্যালয়ে নিজের কক্ষে বসে ভোটের খোঁজখবর নেন কাজী রকিব।
বেলা ১১টার পরে কমিশন থেকে বেরিয়ে ধানমন্ডির কাকলী উচ্চ বিদ্যালয় ও রেসিডেন্সিয়াল স্কুল-কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান তিনি।
ততোক্ষণে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা, ব্যালট বাক্স ভাংচুর, কেন্দ্র দখল, বোমাবাজি ও জালভোটের খবর চলে আসে গণমাধ্যমে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে গণমাধ্যমকর্মীরা সিইসিকে প্রশ্ন করলে তার জবাব এড়িয়ে যান তিনি।
রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন নিয়ে সিইসিকে ঘিরে ধরলেও কোনো জবাব দেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
কাজী রকিব উদ্দিনের কাছে সাংবাদিকরা কোনো বক্তব্য না পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট বর্জন করে বিএনপি।
ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে তারা এ ঘোষণা দেন।
তবে সিইসি মুখ না খুললেও নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, “আমাদের কাছে সংবাদ রয়েছে- দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হচ্ছে।”
বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা বিভিন্ন অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও আইনগতভাবে তার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
ভোটে অনিয়মের কোনো অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বেলা ১২টার দিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও মির্জা আব্বাস এবং চট্টগ্রামে মনজুর আলম ভোট বর্জনের ঘোষণা আসে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, “মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পর প্রতীক পাওয়া সবাই আমাদের কাছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। কেউ বর্জনের কথা বললেও ব্যালটে তার নাম ও প্রতীক থাকবে।”
নির্বাচনে যে যে ভোট পাবেন গণনা করে ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
ভোট বর্জনের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ তার কাছে জমা দেননি বলেও জানান ইসির এ উপসচিব।
“আমার কাছে অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখতাম। অভিযোগ ছাড়া কিছু করারও সুযোগ নেই। বিভিন্ন মাধ্যমে যেসব অভিযোগ পাচ্ছি তার খোঁজ নিচ্ছি,” বলেন তিনি।
তবে ঢাকার দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
মন্তব্য চালু নেই