সেনাবাহিনীর জন্য ক্যান্টনমেন্ট ‘বেস্ট পজিশন’
নির্বাচনের সময় ক্যান্টনমেন্ট সেনাবাহিনীর জন্য ‘বেস্ট পজিশন’ বলে মনে করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সিটি নির্বাচনে সোনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ‘সেনাবাহিনী সবসময় রিজার্ভ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকে। এবারও তাই থাকবে।’
রকিবউদ্দিন বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট হলো ঢাকা সিটির কেন্দ্রেবিন্দু। তাদের তো এক জায়গায় থাকতে হবে? আমরা মনে করেছি, ক্যান্টনমেন্ট তাদের জন্য ‘‘বেস্ট পজিশন’’। তাদের ডাকা হলেই ওই স্থান থেকে তারা মুভ করতে পারবে।’
সিইসি বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসাররা ডাকামাত্রই তারা চলে আসবেন। ম্যাজিস্ট্রেটও তাদের সঙ্গে থাকবে। তাই কোনো সমস্যা হবে না।’
এক দিনের ব্যবধানে চিঠির সংশোধনের বিষয়ে রকিবউদ্দিন বলেন, ‘সেনাবাহিনী কোথায় থাকবে সেটা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত ওই কারণে চিঠি দিয়েছি। কাজ করতে গেলে অনেক ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে, পরে সেগুলো শুদ্ধ করা হয়। চিঠিটা মূলত প্রতিস্থাপিত হয়েছে।’
২১ এপ্রিল তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ও রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ২২ এপ্রিল তাদের ক্যান্টনমেন্টের মধ্যেই ‘রিজার্ভ ফোর্স’ হিসেবে রাখতে পুনরায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দেয় ইসি। মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রতি সিটি করপোরেশন এলাকায় এক ব্যাটালিয়ান করে সেনাবাহিনীর সদস্য ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিল চার দিন স্ট্রাইকিং এবং রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। রিটার্নিং অফিসার ডাকলেই তারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন।’
কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ওই চিঠির ভাষা পরিবর্তন করে পুনরায় চিঠি পাঠায় ইসি। বুধবার রাতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রতি সিটি করপোরেশন এলাকায় এক ব্যাটালিয়ান করে সেনাবাহিনীর সদস্য ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিল এই চার দিন দায়িত্ব পালন করবেন। তারা মূলত সেনানিবাসের ভেতরে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবেন এবং রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন।’
বুধবার রাতে সংশোধিত চিঠি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার বরাবর পাঠানো হলেও কমিশনের পক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। কিন্তু পরের দিন কমিশন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছ মুখ খোলে।
মন্তব্য চালু নেই