লম্বা টুপি পরার খেসারত

টুপি আর ছড়ি ব্রিটিশদের আভিজাত্যের প্রতীক। অনেক বছর ধরেই এই দুটি বস্তুকে ব্রিটিশরা তাদের নিত্যদিনের সাজসজ্জার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করছে। যদিও প্রাচ্যের হাতে ছড়ি মানে বার্ধক্য কিংবা শারীরিক সমস্যার নিদর্শন। কিন্তু বৃটেনে এমনও অনেক তরুন দেখা যাবে যাদের পরনে লম্বা টুপি আর হাতে চিকন একটা ছড়ি। সেই বৃটেনেই লম্বা টুপি পরার কারণে এক ব্যবসায়িকে উত্তম মধ্যমের শিকার হতে হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার লন্ডনের ক্রাটফোর্ড ব্রিজ স্টেশন থেকে জ্যাকি পাইওনিয়ার নামে ৫৪ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ি বাসস্থানে যাবার উদ্দেশ্যে ট্রেনে ওঠেন। নিজের আভিজাত্যের চিহ্ন হিসেবে তার মাথায় ছিল লম্বা টুপি। এই টুপি দেখে ট্রেনে আরোহী কিছু যুবক বেশ কিছুক্ষন জ্যাকিকে উত্যক্ত করে। একপর্যায়ে তরুণেরা জ্যাকির কাছে টুপিটি চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান জ্যাক। আর এই টুপি না দেয়ার কারণে ট্রেনের মধ্যেই মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করে ওই যুবকেরা।

ইলেকট্রিক সিগারেট বিক্রেতা জ্যাকি জানান, ‘এটা খুবই অবাক করার বিষয়। আমার টুপিটি হাতছাড়া হওয়ায় আমি খুব দুঃখিত ছিলাম। গোটা দিন কাজ এবং খাওয়া দাওয়ার পর আমি বাড়িতে ফিরছিলাম। তখন আমার পরনে ছিল লম্বা টুপি। ট্রেনে এক লোক আমার কাছে টুপিটি দেখতে চাইছিল। কিন্তু তিনি যেভাবে আমার কাছে টুপি চাইছিল তা আমার কাছে শোভন মনে হচ্ছিল না। সাধারণত এটা কোনো সমস্যা নয় কিন্তু আমি তকে না বললাম এবং তাকে একটু ক্ষুব্ধ হতে দেখলাম। এই ঘটনার দশ মিনিট পরেই ওই লোকটি আরও দুজনকে নিয়ে এসে আমার পেছনে বসে এবং আমার টুপিতে হাত দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন আমাকে ধাক্কা দেয় এবং চিৎকার করে আমাকে মারতে শুরু করে।’

লন্ডনের ট্রেনে এরকম ঘটনা এবারই প্রথম নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে আরও এক তরুণকে এভাবে আহত করা হয়। সেই তরুণের দোষ ছিল যে, সে তার টিকিটটি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই