শিবিরের ভেতরে পুলিশের সোর্স, নাশকতার ছক উদ্ধার

সিলেটে নাশকতাকারীরা ধরতে শিবিরের মধ্যে সোর্স তৈরি করেছে পুলিশ। এ কাজে পুলিশ সফলও হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের খাঁচায় বন্দি হয়েছেন সিলেট বিভাগ শিবিরের প্রধান সমন্বয়ক। আর তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নাশকতার একটি গোপন ছক।

ওই ছকে শিবিরে কিভাবে নাশকাত চালাবে, কখন কাকে দিয়ে নাশকতা করবে, তা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ ও এসএমএস এর মাধ্যমেও নাশকতার তথ্য আদানপ্রদান করা হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর রাতে সোর্সের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট নগরীর সবুজবাগ ১০/৪ নম্বর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শিবিরের সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়কারী শামসুর রহমান জাবালকে (২৮)। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ডা. শফিকুর রহমানের ভাতিজা।

জাবালকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে সিলেটে শিবিরের নাশকতার ছক, পরিকল্পনা ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। তার মোবাইল থেকে উদ্ধার করা হয় নাশকতার নানা তথ্য।

পুলিশের দাবি, জাবালকে গ্রেপ্তারের পর শিবিরের নাশকতার ছক, পরিকল্পনা ও নাশকতাকারীদের ব্যাপারে অনেক তথ্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত জাবাল শিবিরের সিলেট বিভাগের সমন্বয়কারী। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট নগরীর নয়াসড়কস্থ আড়ংয়ে পেট্রোল বোমা হামলা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর আগে শাহজালাল সেতুতে পেট্রোল বোমা হামলাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে জাবালের পরিকল্পনা অনুযায়ী নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। কোথায় কিভাবে কতজনের অংশগ্রহণে নাশকতা চালাতে হবে এরকম পরিকল্পনার লিখিত ছকও উদ্ধার করা হয় জাবালের কাছ থেকে। উদ্ধারকৃত কাগজপত্র থেকে শিবিরের বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষিত নাশকতাকারীর নাম পরিচয়ও সনাক্ত করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মো. রহমত উল্লাহ  বলেন, ‘জাবালকে গ্রেপ্তারের পর শিবিরের নাশকতার পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত কাগজপত্রে জানা গেছে নগরীতে কারা কিভাবে নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। জাবালের মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ ও এসএমএস থেকেও গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যের সূত্র ধরে এখন নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে।



মন্তব্য চালু নেই