ষাঁড়ের বীর্যের দাম আড়াই লাখ টাকা

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে যুবরাজ নামের একটি ষাঁড়ের বীর্য়ের দাম প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

প্রজননের কাজে ব্যবহৃত ভারতের ১৩টি ভাল জাতের ষাড়েঁর মধ্যে যুবরাজের জাত সবচাইতে ভাল। আর তাই এ কাজে যুবরাজের চাহিদাও প্রচুর, জানিয়েছে বিবিসি।

ভারতের কেন্দ্রীয় ষাঁড় গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান ইন্দ্রজিৎ সিং যুবরাজকে ‘চ্যাম্পিয়ন ব্রিডিং বুল’ উপাধি দিয়েছেন। ভারতে যুবরাজের বীর্যই এখন সম্ভবত সবচেয়ে দামি, প্রতি ডোজে এর মূল্য সাড়ে তিনশ রুপি।

ষাড়টির একবার বীর্যপাতে ৫০০ থেকে ৬০০ ডোজ বীর্য পাওয়া যায়। শুধু যুবরাজের বীর্য বিক্রি করেই সিং বছরে ৩০ থেকে ৫০ লাখ রুপি আয় করেন।

বাড়িতে তরল নাইট্রোজেনের ৫০ লিটারের কন্টেইনারে মাইনাস ১৯৬ সে. তাপমাত্রায় জামাট বাঁধানো অবস্থায় বীর্য সংরক্ষণ করেন তিনি।

আর্কষণীয় আকৃতির যুবরাজের গায়ের রঙ খয়েরি-কালো মিশেলে। ওজন সাড়ে চারশ কিলোগ্রাম। চওড়ায় ষাঁড়টি ১০ ফুট আর উচ্চতা পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি।

যুবরাজের গর্বিত মালিক কর্মবীর সিং তিন পুরুষ ধরে হরিয়ানা প্রদেশে কৃষিকাজের সাথে জড়িত। তিনি বলেন, “প্রতিদিন কেউ না কেউ যুবরাজকে দেখতে আসে। সে কেবল একটি ষাঁড় নয়, একটি ব্রান্ড এখন।”

মহাভারতে উল্লেখিত বিখ্যাত কুরুক্ষেত্র এলাকার সুনারিয়ন এলাকার বাসিন্দা কর্মবীর সিং দুই ডজন গরু ও ষাঁড়ের মালিক। তবে ভারতের প্রখ্যাত ক্রিকেট খেলোয়াড়ের নামে রাখা ‘যুবরাজ’ ষাঁড়টিই তার সবচেয়ে আদরের।

প্রায় সারা ভারত থেকেই ভাল জাতের ষাঁড়ের বীর্য নিতে খামারিরা যুবরাজের মালিকের শরণাপন্ন হন। উত্তর প্রদেশ থেকে আসা ললিত চৌধুরী প্রথমবারের মত যুবরাজের বীর্যের সন্ধানে এসে জানান, তিনি গতবছর মেরুত পশু মেলায় প্রথম যুবরাজকে দেখেন।

তিনি বলেন, “মেলায় যুবরাজ মানুষের চোখ কেড়ে নিয়েছিল। আমি এখন তার বীর্য সারা ভারতের খামারিদের কাছে বিক্রি করতে চাই।”



মন্তব্য চালু নেই