অভিযান চলছে, থেমে থেমে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ

সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ রবিবার সকাল ১০টা থেকে ফের অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের দুই কিলোমিটারের মধ্যে সাংবাদিকসহ সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সকাল থেকেই বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

‘আতিয়া মহল’ নামে পাঁচতলা ওই বাড়িতে শনিবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো টিম। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে ৭৮ জনকে উদ্ধার করে। এরপর অভিযান বনধ রাখে। আজ রবিবার সকাল থেকে তারা ফের অভিযান শুরু করেছে।

শিববাড়ির পাশেই জৈনপুর এলাকার বাসিন্দা জুমন খান জানান, বেলা সাড়ে ১১টা ও সোয়া ১২টার দিকে দুটি গ্রেনেড বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া থেমে থেমে গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লোকজনকে রাস্তায় না বের হওয়ার জন্য মাইকে ঘোষণা দিচ্ছেন। আশপাশের এলাকা ও রাস্তায় কোনও লোকজনকে দেখা যাচ্ছে না। সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শনিবার রাতে বিস্ফোরণের পর থেকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এসএমপি জানায়, দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বর, সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক, পাড়াইরচক থেকে পীর হবিবুর রহমান চত্বর পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ও জোটবদ্ধভাবে চলাফেরা না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় ‘আতিয়া মহল’ নামে পাঁচতলা একটি বাড়ির নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে জানতে পারে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আতিয়া মহল বাড়ির ভেতর থেকে বাইরের দিকে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলে জানায় স্থানীয়রা। এরপর ‘আতিয়া মহল’ঘিরে রাখে পুলিশ। জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনার জন্য শুক্রবারা বিকেলে সোয়াত টিম ও রাত সাড়ে ৭টার দিকে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আর অভিযানে নেতৃত্ব দিতে রাত চারটার দিকে সিলেটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। শনিবার ভোরে আতিয়া মহলে অভিযান শুরু করে সোয়াট ও সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনী।



মন্তব্য চালু নেই