নারী দিবস, নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল সৌদি আরব
নারী দিবস পালন করেছে সৌদি আরব। অতি রক্ষণশীল দেশটি এই প্রথম নারী দিবস পালন করলো। এ উপলক্ষে রাজধানী রিয়াদের কিং ফাহাদ কালচারাল সেন্টারে তিনদিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশে নারীদের ওপর পুরুষদের আধিপত্য এবং সব কিছুতেই পুরুষ অভিভাবকদের হস্তক্ষেপের ইতি টানার আহ্বান জানানো হয়।
সৌদির রাজপরিবারের নারী সদস্যরাও ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেসময় শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীদের ভূমিকা বিষয়ক একটি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন রাজকুমারী আল জাওহারা বিনতে ফাহাদ আল সৌদ।
কালচারাল সেন্টারের মুখপাত্র মোহাম্মেদ আল সাইফ আরব নিউজকে জানিয়েছেন, ‘আমরা সৌদির নারীদের জীবন এবং তাদের সফলতা উদযাপন করতে চাই। একই সঙ্গে আমরা শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, সাহিত্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীদের অর্জনের বিষয়গুলো সম্পর্কে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’
সৌদিতে নারীদের কোনো স্বাধীনতা নেই। তাদের একটি সীমাবদ্ধ জীবন যাপন করতে হয়। পরিবারের পুরুষ অভিভাবকদের ছাড়া তারা বাড়ির বাইরে, বাজারে, এমকি চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছেও যেতে পারেন না। নারীদের অধিকার খর্ব করার কারণে বিশ্বে সৌদি আরব বরাবরই সমালোচিত হয়ে আসছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০১৫ সালের জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুযায়ী, নারী-পুরুষের সমান অধিকারের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে সৌদি আরবের অবস্থান ১৩৪তম। দেশটিতে নারীরা নিজেদের ব্যক্তিগত কোনো বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন না। পুরুষ অভিভাবকরা তাদের ওপর যে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন তাদের সেটাই মেনে নিতে হয়।
সৌদি আরব বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ এবং তাদের কোনো ডাইভিং লাইসেন্সও দেয়া হয় না।
একটি মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সৌদিতে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একটি নারীর জীবনযাপন তার পুরুষ অভিভাবকদের ওপরই নির্ভরশীল।
মন্তব্য চালু নেই