রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছে মায়ানমার সেনাবাহিনী
আন্তর্জাতিক চাপ ও প্রতিবাদকে অগ্রাহ্য করে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বর্মি সৈন্যরা ভয়ঙ্কর অপরাধ অব্যাহত রেখেছে। নির্বিচারে গুলি করে শিশুসহ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের হত্যা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক নৃশংসতার সর্বশেষ আপডেট।
৫/১২/২০১৬, রাত ৮টা:
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে রোহিঙ্গাদের মায়োতাং গ্রামে বর্বর বর্মি সৈন্যদের নৃশংস … শিকার হয় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী এবং ২৫ বছর বয়সী এক নারী। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে পরের দিন ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই কিশোরী নিহত হয় এবং ওই নারীও গুরুতর হয়।
ওই গ্রামেরই একটি স্কুলে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা নারীকে বর্মি সৈন্যরা জিম্মি করে রাখে।
অন্য এক রিপোর্টে বলা হয়, ৪ ডিসেম্বর রাতে মায়োতাং গ্রামে অভিযান চালিয়ে বর্বর বর্মি সৈন্যদের দ্বারা প্রায় ১০০ জন রোহিঙ্গা নারী … হন ও ২১ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোহিঙ্গা মিরর রিপোর্টের খবর
রোহিঙ্গা বিরুদ্ধে বর্মি সামরিক বাহিনীর ক্রমাগত অপরাধের ধরন
৫/১২/১৬, রাত ৯টা: \
৫ ডিসেম্বর রাত ৯টায় বার্মিজ সেনারা রোহিঙ্গা গ্রাম ঘেরাও করে শিশুসহ নিরপরাধ রোহিঙ্গা পুরুষদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের অনেককে ওই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। গ্রামটিতে কোনো নারী-পুরুষ নেই- এটা নিশ্চিত করতে তারা শিশুসহ সকল রোহিঙ্গা নারী জিম্মি হিসেবে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়।
রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি খালি করার পর সৈন্যরা নিকটবর্তী গ্রাম থেকে রাখাইন বৌদ্ধ চরমপন্থীদের ডেকে এনে রোহিঙ্গাদের ধন-সম্পত্তি, গৃহপালিত পশু ইত্যাদি লুট করতে সহায়তা করে। যেসব সম্পত্তি বহনের অযোগ্য সেগুলো রাখাইন উগ্রবাদীরা ধ্বংস করে দেয়।
আক্ষরিক অর্থে, রান্নার পাত্র থেকে শুরু করে রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত কোনো কিছুই রেখে যায়নি তারা।
এছাড়াও, ওই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বর্মি সরকার। বর্মি সরকার এই সমস্ত ইচ্ছাকৃত বর্বরীয় কর্মকাণ্ডে রোহিঙ্গারা অনাহার-অর্ধাহারে ধীরে ধীরে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে।
৫/১২/১৬, দুপুর ৩টা:
৫ ডিসেম্বর দুপুর ৩টায় মায়োতাং গ্রামের ওই স্কুলের অভ্যন্তরে ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে কোনো রকম খাদ্য ছাড়াই প্রায় ২০০ রোহিঙ্গাকে তালাবদ্ধ করে রাখে বর্মি সৈন্যরা।
এসব অসহায় নারীদের আর্তনাদের কণ্ঠ বাইরে অনেক দূর পর্যন্ত শোনা গেলেও কেউ তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। এসব নারীদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের আত্মসমর্পণের জন্য বর্মি সৈন্যরা তাদের আটক রেখে নির্মম নির্যাতন চালায়।
৫/১২/১৬, সকাল ১০ টা:
রাখাইন উগ্রপন্থীদের সহায়তায় সামরিক বাহিনীর ৫৫২-ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাংবাজার এলাকায় উত্তর বুতিদং গ্রামে রোহিঙ্গা মালিকানাধীন গবাদী পশুর খামারে গিয়ে সেখানে থাকা গবাদী পশু টেনে-হিচঁড়ে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে সেগুলো মেরে ফেলে।
৪/১২/১৬, বিকাল ৫টা:
দুজন ‘নাতালা রাখাইন’ বা বিজিপি সদস্যরা সিভিল ড্রেসে একটি মোটরসাইকেলযোগে এসে এক বিধবার বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে। আগুন তীব্র আকার ধারন করলে তা আশেপাশের অন্য বাড়িগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্য চালু নেই