গুরু-শিষ্যোর মহামিলন

ডিসেম্বর। বছর শেষের এই মাসই উনত্রিশ বছর আগে কেড়ে নিয়েছিল জয়ললিতার গুরু এমজিআরকে। ২০১৬-র ৫ ডিসেম্বর মিলিয়ে দিল গুরু-শিষ্যাকে। গতকাল রাত সাড়ে এগারোটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন জে জয়ললিতা।

সম্পর্কে গুরু-শিষ্যা। তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে ঠাঁই গুরুর হাত ধরেই। তাঁর দেখানো পথেই জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা। মৃত্যু কোথায় যেন মিলিয়ে দিল মারুথুর গোপালন রামচন্দ্রন আর জয়রাম জয়ললিতাকে।

২৪ ডিসেম্বর, ১৯৮৭-তে প্রয়াত হন এমজিআর। তামিলনাড়ু জুড়ে নামে শোকের ছায়া। এরপরেই তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন জয়ললিতা। গুরুর কাছে শেখা রাজনীতির প্রথম পাঠ কখনই অস্বীকার করেননি আম্মা। ২৯ বছর পর, আর এক ডিসেম্বরের সমাপতন যেন মিলিয়ে দিল গুরু-শিষ্যাকে। আরও এক সমাপতন। এমজিআরের মতো তিনিও শেষ নিঃশ্বাসের ত্যাগের আগে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারেই এবং দুজনেই মৃত্যুর আগে দীর্ঘ রোগে ভুগেছেন।

তাহলে কী ডিসেম্বর মাস তামিলনাড়ুর জন্যে অপয়া? কারণ ইতিহাস বলছে এমাসে তামিলনাড়ুতে ঘটে গেছে একাধিক অঘটন। এমাসেই বহু সনামধন্য ব্যক্তির বিয়োগ যেমন ঘটেছে, তেমনই এই রাজ্যের ওপর নেমে এসেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগও।

ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া সি রাজাগোপালআচর্যও শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন ১৯৭২ সালে ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ।

২০০৪ সালে সুনামি আছড়ে পড়ে তামিলনাড়ু উপকূলে, মৃত্যু হয় বহু মানুষের, ঘরছাড়া হন অনেকে।

গতবছর ডিসেম্বরই মারাত্মক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছিল তামিলনাড়ুতে। ভেসে গিয়েছিল চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম, কাড্ডালোর, তিরুভাল্লোরের মতো এলাকাগুলো। -এবিপি আনন্দ।



মন্তব্য চালু নেই