আমি ছাত্রলীগ কিংবা কোনো দলের কর্মী নই : ইমরান
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা থেকে শুরু করে সিলেটের অনেক স্থানীয় নেতা ইমরানকে তাদের দলীয় কর্মী হিসেবে দাবি করলেও ইমরান জানিয়েছেন তিনি ছাত্রলীগের কর্মী নন। খাদিজা আক্তার নার্গিসকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা তরুণ মো. ইমরান কবির বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ কিংবা কোনো দলের কর্মী নই, আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী’।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম যখন খাদিজাকে কুপিয়ে আহত করেন, তখন ইমরানই প্রথম তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর আহত খাদিজার যখন রক্তের প্রয়োজন হয়, তখন এই ইমরানই প্রথম তার জন্য রক্ত দেন। তবে হামলার ঘটনার পর থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতারাও ইমরানকে তাদের দলীয় কর্মী হিসেবে উল্লেখ করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছেন।
তবে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দলের সাথেই জড়িত নই, আমাকে রাজনীতির সঙ্গে জড়াবেন না’।
জানা গেছে, মুরারিচাদ (এমসি) কলেজে খাদিজার ওপর হামলার ঘটনার পর চারপাশে অনেক মানুষ ভিড় হলেও কেউই তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য এগিয়ে যাননি। পরে দৌড়ে এসে খাদিজাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন ইমরান।
হামলার ঘটনা ও উদ্ধারের খবর প্রচারিত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেইন বুধবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো’তে দাবি করেন, ইমরান তারই কর্মী। ইমরানকে তিনি মুরারিচাদ (এমসি) কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেন। যে দাবি একেবারেই নাকচ করে দিয়েছেন ইমরান।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থও ইমরানকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে স্কয়ার হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে খাদিজাকে দেখতে গিয়ে সেলফি তুলে আলোচনায় আসা সরকার দলীয় সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিনও বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে ইমরানকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সাইটে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা ইমরানকে নিজেদের কর্মী দাবি করে গর্ব করছেন।
ছাত্রলীগের দাবির কোনো সত্যতা নেই উল্লেখ করে ইমরান জানান, ‘আমি বুঝতে পারছি না, ছাত্রলীগের নেতারা কেনো আমাকে তাদের কর্মী হিসেবে দাবি করছে’।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন আপনি এমসি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী, এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, ‘আমিতো এমসি কলেজের ছাত্রই নই। ২০১৫ সালে আমি সিলেট সরকারী কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি’।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রির (পাস) ছাত্রী খাদিজা। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজা চিকিৎসাধীন। জাগো নিউজ।
মন্তব্য চালু নেই