পরিকল্পনা করে চাপাতি কিনে এমসি কলেজে যায় বদরুল
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার বেলা পৌনে ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দিতে বদরুল উল্লেখ করে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে চাপাতি কিনে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে যায় সে।
এর আগে, দুপুরে তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানা থেকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শারাবান তহুরার আদালতে পাঠানো হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
সিলেট মেট্রোপলিট পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি জানান, সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বদরুলকে নিজেদের জিম্মায় নেয় পুলিশ। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বদরুল আলম খাদিজা আক্তার নার্গিসকে একতরফা ভালোবাসতো বলে উল্লেখ করে বলেন, বার বার অনুনয়-বিনয় করার পরও খাদিজার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পায়নি সে। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এর অংশ হিসেবে সোমবার নগরীর আম্বরখানা এলাকা থেকে একটি চাপাতি আড়াইশ টাকায় কিনে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে যায়। এ সময় চাপাতি ব্যাগে লুকিয়ে রাখে। পরীক্ষা শেষে খাদিজা বের হলে আবারো প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে খাদিজা তার সাথে রূঢ় আচরণ করলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
ওসি আরো জানান, আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বদরুল আলমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই