কিশোরগঞ্জে নৌকার মাঝি হয়েও নৌকা পেলেন না আইয়ুব আলী
খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করেও নৌকা না পেয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি তৃণমূল থেকে একক ভাবে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নের জন্য আশাবাদী হওয়ার পরেও উপজেলা ও জেলা থেকে তার নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর কারণে বাববার দল বদলকারী নাজিম উদ্দিন আলম সবুজকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ঘোষনা করা হয়। নাজিম উদ্দিন আলম সবুজ গত ২০০৪ সালে নীলফামারী-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন সরকারের হাতে ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনুর ফুলের তোড়া দিয়ে স্ব-দলবলে কিশোরগঞ্জ ষ্টেডিয়ামে বিএনপিতে যোগ দেন। তারপর ২০০৭ সালে ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে বর্তমান নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহন করেন। পরে আবার আবার সুবিধা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলীয় মনোনয়ন গ্রহন করেন। এ নিয়ে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ আবার আইয়ুব আলীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় ইউনিয়ন বাসী। গত রবিবার ঢাকা থেকে নাজিম উদ্দিন আলম সবুজকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষনা আসার পর ইউনিয়নের প্রায় ৪হাজার মানুষ রাত ৮টার সময় নীলফামারী রংপুর সড়কে অবস্থান করে সড়ক অবরোধ করে এর প্রতিবাদ জানায়। তারপর প্রায় দেড়ঘন্টা পর আওয়ামীলীগের ধানমন্ডি দলীয় কার্যালয় থেকে চাঁদখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান দুলালকে ফোন দিয়ে সকলকে ধৈর্য্য ধরতে বললে সাধারণ মানুষ অবরোধ তুলে নিয়ে বাড়ী ফিরে যায়। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে আইয়ুব আলী আসলে চাঁদখানা ইউনিয়ন থেকে প্রায় এক হাজার মোটর সাইকেল,পিকআপ,কার মাইক্রোবাস নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে উপজেলা শহরে মিছিল নিয়ে প্রদক্ষিন করে বাড়ীতে ফিরে যায়। চাঁদখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন,দলীয় ভাবে আইয়ুব আলীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য তৃণমুলের ভোটে একক প্রার্থী নির্বাচন করা হলেও মনোনয়ন বানিজ্যের কাছে হার মানিয়েছে সে সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের সভায় চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দিতার জন্য ৬৫ ভোটের মধ্যে ৫১ ভোট পেয়ে একক প্রার্থী নির্বাচিত হন তিনি। সে মোতাবেক ইউনিয়ন কমিটি একক প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নের জন্য আইয়ুব আলীকে সুপারিশ করা হলেও উপজেলা ও জেলা কমিটি প্রচুর অর্থের বিনিময়ে বাববার দল বদলকারী নাজিম উদ্দিন আলম সবুজকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক দেয়ায় চাঁদখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলম সবুজকে বয়কট করেন। এ ব্যাপারে আইয়ুব আলী জানান,আমি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করেছি কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নাজিম উদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত গত নির্বাচনের তুলনায় এবার দ্বিগুন ভোট দিয়ে ইউনিয়ন বাসী আমাকে নির্বাচিত করবে। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল জানান,আমরা নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীর তালিকা জেলায় প্রেরণ করেছি এবং কেন্দ্রীয় ভাবে পার্লামেন্টারিয়ান যাকে মনোনয়ন দিয়েছে সে চুড়ান্ত প্রার্থী। তবে এখানে উৎকোচ নিয়ে আমরা প্রার্থী কি দেয়ার ক্ষমতা রাখি?
মন্তব্য চালু নেই