ভারতীয় নেতার হুমকি
‘ভোট না দিলে পানি দেব না’
ভারতের এক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক পরিবারের এক সদস্য সম্প্রতি দরিদ্র গ্রামবাসীদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, তার আত্মীয়কে ভোট না দিলে গ্রামে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে। মহারাষ্ট্র প্রদেশের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এই হুমকি দেন বলে দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রদেশের বারামতি গ্রামের যুবকরা মন্ত্রীর কাছে তার গত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ না করার বিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি এ হুমকি দেন। ভোপনে ধারনকৃত এক ভিডিও থেকে এ তথ্য জানা যায়। ভিডিওটি প্রকাশের পর এলাকায় আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
অজিত পাওয়ার হলেন ভারতের প্রভাবশালী কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ারের ভাতিজা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন শারদ পাওয়ারের মেয়ে এবং অজিত পাওয়ারের চাচাতো বোন সুপ্রিয়া সুলে। তার পক্ষেই গ্রামবাসীর কাছে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। তখন এক কৃষক তাকে প্রশ্ন করেন,‘২০০৬ সালের নির্বাচনের সময় আপনি দু মাসের মধ্যে আমাদের পানি সঙ্কটের সমাধান করবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন। এখন ২০১৪ সাল চলছে। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে আমরা পানি পাচ্ছি না।’
কিন্তু জনাব পাওয়ার তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে গ্রামবাসীদের তার চাচতো বোন সুপ্রিয়া সুলের জন্য ভোট চাইতে থাকেন। তখন গ্রামবাসীরা একজোটে তার গতবারের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি রেগে যান। তিনি তাদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন,‘আমার সঙ্গে বেশি চালাকি করার চেষ্টা করো না। আগামীকাল ভোট হচ্ছে। ভোটে যদি কেউ কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা কর তাহলে আমি গ্রামের পানি সরবরাহ একবারে বন্ধ করে দেবো।’ অজিত পওয়ার গত বছর তার এক অমার্জিত মন্তব্যের জন্য গ্রামবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। সে সময় গ্রামের কৃষকরা খরা মৌসুমে সেচের জন্য বেশি পানি দাবি করলে তিনি বলেছিলেন,‘ পানি না আসলে আমি কি করবো? আমি কি পেশাব করে জল বানাবো?’
এদিকে তার এই বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আদমি পার্টির প্রার্থী সুরেশ খোপাদা বলেন, অজিত পাওয়ার ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আম আদমি দলের এই প্রার্থী বারামতি আসন থেকে লড়ছেন। সুরেশ খোপাদা আরো বলেন,‘বারামাতি আসনের ভোটাররা গত কয়েক দশক ধরে পাওয়ারদের সমর্থন করে আসছে। কিন্তু বিনিময়ে তারা এলাকার কোনো উন্নয়ন করেননি। এলাকাবাসীর প্রধান চাওয়া হলো পানি, রাস্তাঘাট এবং বিদ্যুৎ। তারা নির্বাচনের সময় জনগণের কাছে বিভিন্ন ওয়াদা করে এবং ভোট দেয়ার জন্য এলাকার লোকজনকে হুমকি দেয়।
মন্তব্য চালু নেই