নারী যে কারণে বিপদগামী হচ্ছেন!
‘না’ এর চেয়ে নারীর ক্ষমতা বেশি’। বর্তমান সময়ে সবার কাছেই কথাটি বেশ পরিচিতি পেয়েছে টেলিভিশনের একটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। আমরা অনেকেই কথাটির সঙ্গে একমত। নারীর আছে ধৈর্য্য, সহ্য, বুদ্ধিমত্তা এবং একনিষ্ঠতা। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে দিনের পর দিন নিজের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করে চলেছে অবিরাম। পথে এসেছে অনেক বড় বড় বাধা।তবুও স্বপ্নের জাল বুনেছে দক্ষ কারিগরকে হার মানিয়ে। সাধকে লালন করে চলেছে সুন্দর একটি ভবিষ্যতের আশায়।
এমন হাজারো নারী আছেন আমাদের সমাজে যারা দাবি করতে পারেন সফল হিসেবে। কিন্তু এটাও সত্য তার চেয়ে বেশিই আছে যারা শক্ত মুঠোয় স্বপ্নকে ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে ভাল কিছু করার। আসলে পুরুষ শাসিত সমাজে এই পথটা পাড়ি দেয়া নারীর জন্য সহজ ব্যপার নয়। পরিবার থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র সবখানেই নারীকে মূল্যায়ণ করা হয় অবলা হিসেবে। সহকর্মীর মর্যাদা তার জোটে না। সেখানে নিজের নিরাপত্তা আর কাজের সঠিক মূল্য পাওয়া তো দুরাশা।
আমাদের দেশের সকল চালিকা শক্তির হাতল ধরে বসে আছেন পুরুষরা। অবহেলিত এই নারীকে তাই কাজের সন্ধানে তাদের কাছেই ধর্ণা দিতে হয়। তার যোগ্যতা দক্ষতা অনুযায়ী কখনো মিলে যায় একটা ভাল কাজ। আবার কখনো পড়ে যায় অনিশ্চয়তায়। কখনো বাধ্য হয় ঘরে ফিরে স্বামীর সংসারে কলুর বলদের মতো ঘানি টানতে। আবার কখনো বাধ্য হয় খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে। সেটা হতে পারে কালোবাজারি, সন্ত্রাসী কাজে সম্পৃক্ততা, মাদক ব্যবসা এমনকি দেহব্যবসা। এক কথায় বলা যায় ‘বিপদগামীতা’। এর পেছনে নানা কারণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। সেসব কারণ গুলো হল-
– নিতান্তই পেটের দায়ে।
– ভালো চাকরির প্রলোভনে প্রতারিত হলে।
– প্রেমে বা বিয়েতে মিথ্যা আশ্বাসে সঙ্গীর মাধ্যমে প্রতারিত হলে।
– কারো দ্বারা ব্লাকমেইলের শিকার হলে।
– সংসারের দায় মেটাতে।
– হতাশাগ্রস্ত হলে।
– মিথ্যা অপবাদের শিকার হলে।
এসব কারণে নারীরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিপদগামী হয়ে পড়ে। এছাড়াও অনেকে অন্য অনেক কারণেও এই পথ বেঁছে নেয়। যেমন নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য, শখের সময় কাটানো ইত্যাদি কারণ। সব সমাজের মেয়েদেরই এই পথে দেখা যায়। তবে উচ্চবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণিই বেশি। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মেয়েরা অপেক্ষাকৃত কম আসে। বিধবা, দায়গ্রস্ত বাবার মেয়ে, স্বল্প শিক্ষিত মেয়েদের এমন ধোঁকায় পড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তাই নারী হিসেবে পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হওয়া চায় সাবধান। সব বাধা ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ বিপদগামীতা অন্ধকারে ঠেলে দেয়। আর সৎ পথ দেয় আলোর ঠিকানা।
মন্তব্য চালু নেই