চলন্ত বাসের কিশোর ধর্ষক মুক্ত, দিল্লিতে বিক্ষোভ

মেডিকেলের ছাত্রী জয়তি সিংকে চলন্ত বাসে দলবেঁধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অপরাধে ৬ জন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী কিশোর অপরাধী তার ৩ বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ করে রবিবার মুক্তি পেয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লির রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ।

ভারতের কিশোর আইনে একজন কিশোর অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছরের কারাদণ্ড। গত শুক্রবার দিল্লির নারী কমিশন থেকে এই অপরাধীর সাজার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হলে দিল্লি হাই কোর্ট সেটা প্রত্যাখ্যান করে। তবে দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট আগামী সোমবার এই আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছেন।

২৩ বছর বয়সী জয়তি সিংয়ের ৬ ধর্ষকের মধ্যে ৪ জন পূর্ণবয়স্ককে আদালত ফাঁসির রায় দেন, পঞ্চম অপরাধী কারাগারে নিজেই ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেন। শুধু ৬ নম্বর আসামি কিশোর আইনের আওয়তায় পড়ায় তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।

২০১২ সালের এই নির্মম ধর্ষণের ঘটনা ভারতসহ সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচারে এর আগেও ভারতে অসংখ্য মানুষ প্রতিবাদ করেছিলেন। এখন এই কিশোর অপরাধীর মুক্তিতে দিল্লিতে গণ মানুষের বিক্ষোভ আবারো জোরদার হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে জয়তি সিং এবং তার এক ছেলে বন্ধু মিলে দক্ষিণ দিল্লির একটি সিনেমা হল থেকে বাসায় ফেরার উদ্দেশে বাসে উঠলে ৬ জন মানুষ তাদেরকে আক্রমণ করেন। নির্যাতনের পর তাদেরকে রাস্তার পাশে ফেলে যান অর্ধমৃত অবস্থায়। জয়তি সিংকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তার পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল কিন্তু তবু তিনি বেঁচে ছিলেন। বেঁচে থাকার জন্য তার এই দুর্দান্ত সাহসিকতা দেখে তার নাম দেয়া হয়েছিল ‘নির্ভয়া’। প্রথমে দিল্লিতে এবং পরে সিঙ্গাপুরে ১৩ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর মারা যান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই