৩০ দিনের মধ্যে গুলিস্তান ফুটপাত হকারমুক্ত!

আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যেই গুলিস্তানে ফুটপাত হকারমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

এ লক্ষে রোববার গুলিস্তানে বুলডোজার দিয়ে অভিযান চালিয়েছে সিটি করপোরেশন। এ সময় মেয়র সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরের দিকে গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার থেকে ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের ফুটপাত হকারমুক্ত করা হয়।

অভিযানকালে ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে বাঁধা দিতে এলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও সরকারের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারা টাকার বিনিময়ে গুলিস্তান এলাকার ফুটপাত ভাড়া দিয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন সেখান থেকে বড় বড় নেতা ও পুলিশের জন্য আলাদাভাবে টাকা তুলে থাকে লাইনম্যান।

মেয়রের কাছে দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ফুটপাতের হকারদের স্থায়ীভাবে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হোক। এভাবে টাকা নেবে আবার প্রায়ই ভেঙ্গে দেবে তা হতে পারে না।

জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন ব্যবসায়ীদের আশস্ত করে বলেন, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুরনো ব্যবসায়ীদের স্থায়ীভাবে বসার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে আগের মতো অভিযান চালিয়ে চলে যাওয়ার পরপরই পুনরায় দোকান বসানোর সুযোগ আর রাখা হবে না। যারা দোকান বসাবে তাদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া থাকলো।

এ প্রসঙ্গে সাঈদ খোকন বলেন, এর আগেও কয়েকবার গুলিস্তানে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রতিবার অভিযান চালানোর পর সন্ধ্যা না হতেই পুনরায় দোকান বসে গেছে। আমরা নজরদারি করেছি। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, সরকার দলীয় স্থানীয় নেতারা নাকি টাকার বিনিময়ে এ কাজ করে থাকেন। একটা লুকোচুরি খেলা হয়েছে। এবার আর এ সুযোগ থাকবে না। ফুটপাত দিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে চলাচল করবে।

তিনি আরো বলেন, গুলিস্তান হকারমুক্ত করার পর মতিঝিলের ফুটপাত হকারমুক্ত করা হবে। এরপর নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতও হকারমুক্ত করা হবে। পুরো ঢাকা দক্ষিণ সিটির ফুটপাতগুলোকে হকারমুক্ত করে জনগণের চলাচল নির্বিঘ্ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, হকারমুক্ত ফুটপাত করার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন হয় না। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমেও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই