৩ বন্ধুর উপস্থিত বুদ্ধিতে রক্ষা পেল ট্রেনের শত শত যাত্রীর প্রাণ

তিন যুবকের উপস্থিত বুদ্ধিতে বাঁচল যাত্রী বোঝাই ট্রেন। বড়সড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে স্বস্তি পেল রেল। এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বীরভূমের বোলপুর এবং প্রান্তিক স্টেশনের মাঝখানে। সকাল ৭.৪৫ নাগাদ বোলপুর স্টেশনে পৌঁছয় বর্ধমান-বারহারোয়া প্যাসেঞ্জার।

ওই সময়েই বোলপুরের পূর্বপল্লির বাসিন্দা তিন যুবক রেল লাইনের ধারে প্রাতকৃত্য সারতে আসেন। তখনই লাইনের উপরে বড়সড় ফাটল চোখে পড়ে তাঁদের। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই লাইন দিয়েই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি যাওয়ার কথা ছিল। বিপদ আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরে যায় তিন যুবক। বাড়ি থেকে গামছা এবং একটি লাঠির গায়ে লাল কাপড় জড়িয়ে নিয়ে আসে তাঁরা। এর পরে রেল লাইনের পাশ দিয়ে বোলপুর স্টেশনের দিকে ছুটতে থাকে তিন বন্ধু। ততক্ষণে অবশ্য বোলপুর স্টেশন ছেড়ে প্রান্তিক স্টেশনের দিকে এগোতে শুরু করেছে বর্ধমান-বারহারোয়া প্যাসেঞ্জার। তিন যুবককে হাতে লাল কাপড় নিয়ে ছুটে আসতে দেখে ট্রেনের গতি কমানোর চেষ্টা করেন চালক। তা সত্ত্বেও অবশ্য যেখানে ফাটল ছিল তার আগে ট্রেন দাঁড় করানো যায়নি। ইঞ্জিন এবং দু’টি বগি ফাটলের উপর দিয়ে চলে যাওয়ার পরে ট্রেন পুরোপুরি থামে। কিন্তু আগে থেকেই চালক সতর্ক হয়ে যাওয়ায় ট্রেনের গতি অনেক কমে গিয়েছিল। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ায় ট্রেনটি। যদিও এর কিছুক্ষণ আগেই ওই লাইন দিয়ে একটি মালগাড়ি যায়।

ঘটনা জানাজানির পরে ট্রেনযাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে কার্যত নায়কের সম্মান পান ওই তিন যুবক। জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম সুব্রত বাগদি, প্রকাশ দাস এবং বিষ্ণু তুড়ি। রেল লাইনের পাশেই বসবাসকারী তিন বন্ধু রোজকার মতো এদিন সকালেও লাইনের পাশেই প্রাতকৃত্য সারতে এসেছিলেন। লাইনে ফাটল দেখেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, যে করেই হোক, ট্রেনটিকে থামাতে হবে। লাইনে ফাটল আছে তা খবর পেয়ে বোলপুর স্টেশন থেকে রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেরামতি শুরু করেন। তার পরে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। ওই তিন যুবককে ট্রেন চালকও ধন্যবাদ জানান। কিন্তু রেল লাইনে এতবড় ফাটস থাকলেও তা রেলকর্মীদের নজরে এল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। -এবেলা।



মন্তব্য চালু নেই