২৪ ঘণ্টাতেই ছয় হাজার শরণার্থী ক্রোয়েশিয়ায় ঢুকেছে

ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢুকতে মরিয়া হাজার হাজার শরণার্থীর জন্য হাঙ্গেরি তাদের সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার পর শরণার্থীদের স্রোত এবার ছুটছে ক্রোয়েশিয়ার দিকে।

কেবল গত ২৪ ঘণ্টাতেই ছয় হাজার শরণার্থী ক্রোয়েশিয়ায় ঢুকেছে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার সরকার বলছে, যেভাবে হাজার হাজার শরণার্থীর ঢল নেমেছে, তাদের ভার নেয়ার মত সামর্থ্য তাদের নেই।

ক্রোয়েশিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ স্লোভেনিয়া বলেছে, এই শরণার্থী সংকটের একটা ইউরোপ ভিত্তিক সমাধান যতক্ষণ খুঁজে পাওয়া না যাচ্ছে, ততক্ষণ তারা তাদের সীমান্তের সব পথ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সার্বিয়ার সাথে সীমান্ত বন্ধ করে প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকেই শত শত আটকে পড়া অভিবাসী প্রতিবাদ শুরু করে।

সেই প্রতিবাদ গতকাল সংঘর্ষে রূপ নেয়। যে যুদ্ধ-সংঘাত থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য কয়েকটি দেশ, সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে, গতকাল সার্বিয়া- হাঙ্গেরি সেই সংঘাতেরই চিত্র দেখা যায়।

তারপর থেকে হাঙ্গেরিকে লক্ষ্য করে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সার্বিয়ার অভ্যন্তরে হাঙ্গেরির নিরাপত্তা বাহিনী যে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছে সার্বিয়া। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার ভুসিচ এক ক্রোধ প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, শরণার্থীদের প্রতি হাঙ্গেরির আচরণ ইউরোপ-সুলভ নয়

সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বলছিলেন “যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য তিনি কাউকে দায়ী করতে চানা, কেননা সার্বিয়া প্রতিবেশী হাঙ্গেরির সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু অভিবাসীদের লক্ষ্য করে সার্বিয়ার ভেতরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভুসিচ মন্তব্য করেন, তিনি চান এগুলো না করে, শান্ত সুস্থিরভাবে যেন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায় সেই চেষ্টা করা”।

তবে হাঙ্গেরির কড়া অবস্থানের পর, গতকাল থেকে হাজার হাজার অভিবাসী ট্যাক্সিতে, বাসে, পায়ে হেটে ক্রোয়েশিয়ার দিকে ছুটছে।

তাদের আশা সেখান থেকে স্লোভেনিয়াতে ঢুকতে পারলেই সীমান্তে কোনো বাধা ছাড়াই জার্মানিতে পৌঁছে যেতে পারবে তারা।

এখন পর্যন্ত হাজার ছয়েক লোক ক্রোয়েশিয়াতে ঢুকেছে। ক্রোয়েশিয়া এখন পর্যন্ত বাধা দিচ্ছেনা, তবে ক্রোয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন যেভাবে হাজার হাজার অভিবাসী ঢুকছে, তাতে ভিন্ন ব্যবস্থা নিতে হতে পারে।

কিন্তু স্লোভেনিয়া সতর্ক করেছে, তারা সীমান্ত খুলে রাখবে না। স্লোভেনিয়াও যদি হাঙ্গেরির মত কট্টর অবস্থান নেয়, তাহলে পরিস্থিতি তি দাঁড়াবে তা নিয়ে অভিবাসীদের মধ্যে তো অবশ্যই, অন্যদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই