২০৩০ সালে পানির যোগান ৪০% কমবে বিশ্বে

বর্তমানে যে হারে পানির ব্যবহার হচ্ছে সেই হার বজায় থাকলে আর মাত্র ১৫ বছর পর ৪০ শতাংশ পানির যোগান কমে যাবে। অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ববাসী বর্তমান সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি পানি সঙ্কটে ভুগবে। শুক্রবার জাতিসংঘ বিশ্ব পানি উন্নয়ন প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মজুদ হ্রাস পেয়ে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে পানির চাহিদা ৫৫ শতাংশ বাড়বে। এছাড়া বর্তমানে যে হারে পানি ব্যবহৃত হচ্ছে তাতে ২০৩০ সালে প্রয়োজনের মাত্র ৬০ শতাংশ পানি পাবে বিশ্ব।

প্রতিবেদনে পানি সঙ্কটের কারণ হিসেবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে চিহিৃত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে মোট জনসংখ্যা ৭শ ৩০ কোটি। ২০৩০ সাল নাগাদ তা বৃদ্ধি পেয়ে ৯শ কোটিতে দাঁড়াবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাতের ধরণে অনিশ্চয়তায় বেড়েছে। এর ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে গেছে। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কৃষিকাজ, শিল্প ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির চাহিদা বাড়বে।

প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, পানির পর্যাপ্ত যোগান না থাকলে ফসল উৎপাদন বিঘ্নিত হবে, বাস্তুসংস্থান ভেঙে পড়বে, শিল্প কারখানার পতন ঘটবে, রোগ ও দারিদ্র্য ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছাবে। এছাড়া পানির জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটবে।

এতে বলা হয়, চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য ফিরিয়ে না আনলে পুরো বিশ্ব প্রচণ্ড পানি সঙ্কটে ভুগবে। আর দক্ষতার সঙ্গে পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে যথেষ্ট পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।



মন্তব্য চালু নেই