১১২ মিটার লম্বা কাবাব বানিয়ে রেকর্ড!

চীন-রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর সুইফেনি৷ সীমান্তের দুই পাশে দাঁড়িয়ে দুই দেশের পর্যটক৷ মাঝখানে পাতা রয়েছে একটি বিশাল রেললাইন৷ কৌতুহলী পর্যটকেরা ভাবছেন কোনও ট্রেন আসছে না কেন? অনেকক্ষণ ধরেই অপেক্ষা করছেন তাঁরা৷ কী হল? বেলা তিনটে বাজতেই দুই দেশেরই পাকা রাঁধুনিরা হাতা খুন্তি নিয়ে হাজির৷ রেললাইল হয়ে উঠল ‘সিগরি’- মানে যেখানে কাবাব সেঁকা হয় আর কি!

ঢালা হল কাঠকয়লা৷ ধারানো হল আগুন৷ লাল হয়ে চুলা জ্বলে উঠতেই কাবাব সেঁকা শুরু হল৷ এসব দেখে পর্যটকদের তো দুই চোখই কপালের সীমান্ত ছুঁয়েছে। এ যেন তাঁদের চোখে দেখা সেরা একটি মুহূর্ত৷ প্রায় ১১২ মিটার দীর্ঘ রাস্তাজুড়ে তৈরি হয়েছে এই সিগরি৷ প্রত্যেকদিন এখানে সেঁকা হয় প্রায় ৩০০ কেজি মাংসের কাবাব৷ দুই দেশের প্রায় ৭০ জন রাঁধুনি এই কাবাব তৈরিতে অংশ নেন৷ চলে বেলা তিনটে থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত৷ কাবাবের দৈর্ঘ্য ১১২.৩৭৪ মিটার৷ চীনা রেললাইনের একটি পাত নিয়ে এসেই তাকে সিগরিতে পরিণত করা হয়েছে৷ দুই দেশের দর্শণীয় জায়গার মধ্যে এটি একটি অন্যতম দেখার বিষয়, যেটি সম্প্রতি স্হান করে নিয়েছে গেনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে৷

প্রত্যেকদিন দুপুর তিনটে থেকে কাবাব তৈরি শুরু হয়৷ চলে রাত ন’টা পর্যন্ত৷ এই কাবাব দুই দেশের মানুষের কাছেই ভীষণ প্রিয়৷ এখানে বাড়িতে অতিথি এলে কিংবা অনুষ্ঠানে অথবা বন্ধুদের সঙ্গে সন্ধ্যার আড্ডায় কাবাব থাকতেই হবে৷ রীতিমতো লাইন দিয়ে বিক্রি হয় এই কাবাব৷ দেখে যেমন চক্ষু সার্থক তেমনই খেয়ে জিভেরও আরাম৷ দুই দেশের পর্যটন উৎসবও পালিত হয় এই শহরেই৷ পর্যটকদের কাছে এই কাবাব তৈরি হয়ে ওঠেছে বিশেষ আকর্ষণীয় একটি বিষয়৷



মন্তব্য চালু নেই