১০ লাখ লোক হারিয়েছে জাপান!

পাঁচ বছরে ১০ লাখ লোক হারিয়েছে জাপান। ২০১০ সালে জাপানের মোট জনসংখ্যা থেকে ১০ লোক কমে গেছে। নতুন আদামশুমারিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।

১০ লাখ লোক কমে যাওয়ার ঘটনা স্পষ্ট প্রমাণ দেয়, দেশটিতে জন্মহার আশঙ্কাজনক হারে পড়ে গেছে। দেশটিতে এখন প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বেশি। জনসংখ্যার এই হ্রাস ১৯২০ সালের পর এটিই প্রথম।

বিবিসি অনলাইনের এক খবরে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে জাপানে আদমশুমারি হয়। এ অনুযায়ী গত আদমশুমারির চেয়ে শূন্য দশমিক (০.৭) শতাংশ লোক কমে গেছে।

জনমিতি থেকে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘ সময় থেকে জাপানে লোকসংখ্যা কমছে। বলা হচ্ছে, জন্মহার কমে যাওয়া এবং অভিবাসনের অভাবে এই অবস্থা হয়েছে জাপানের।

ক্রমেই প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গতি হারাচ্ছে জাপানের অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে- যা আশঙ্কাজনক।

জাপানের ইন্টারন্যাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০১০ সালের আদমশুমারিতে যে জনসংখ্যা ছিল ২০১৫ সালে তা থেকে ৯ লাখ ৪৭ হাজার কম।

জাপানের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, রাজধানী টোকিওসহ আটটি অঞ্চলে (প্রিফেকচার) জনসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু অন্য ৩৯টি অঞ্চলগুলোতে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে ফুকুশিমা প্রিফেকচারে। গত পাঁচ বছরে এই প্রিফেকচারে ১ লাখ ১৫ হাজার লোক হারিয়েছে।

ফুকুশিমায় পরমাণু কেন্দ্র বিস্ফোরিত হয়ে এবং ২০১১ সালে ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিধ্বস্ত হয়। যে কারণে এই অঞ্চল থেকে অনেক লোক স্থানান্তরিত হয়েছে। কয়েক হাজার লোক মারা গেছে। ফুকুশিমার পরমাণু তেজস্ক্রীয়তা এখনো ভোগাচ্ছে ওই অঞ্চলের জনগণকে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী জিনজো আবে সম্প্রতি ঘোষণা দেন, জন্মহার বাড়াতে হবে। মাপ্রতি জন্মহার হতে হবে ১.৮ এবং ধীরে ধীরে তা ২.১-এ উন্নীত করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই