হাঙ্গেরির আচরণে হতভম্ব জাতিসংঘ

হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্তে জড়ো হওয়া শরণার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের উপর টিয়ারগ্যাস ও জলকামান নিয়ে হামলা চালায় দাঙ্গা পুলিশ। অপরদিকে শরণার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং পানির বোতল ছুঁড়ে মারে। ফলে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে এই সংঘর্ষ। এতে আহত শরণার্থীদের অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা নিয়েছে। ঘটনাস্থলে আগুন জ্বলতেও দেখা গেছে।

হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্তে জড়ো হয়ে শরণার্থীদের ‘দরজা খুলে দাও’ বলে চিৎকার করতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলের কাছেই অবস্থান করছিল দাঙ্গা পুলিশ।

শরণার্থীরা হাঙ্গেরির এই আচরণকে ‘অমানবিক’ বলছে। অপরদিকে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্তের উত্তেজনা প্রশমনে সার্বিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

ক্রোয়েশিয়া শরণার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু শরণার্থী দেশটিতে প্রবেশ করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার থেকে ইউরোপ অভিমুখে শরণার্থীদের স্রোত ঠেকাতে ইউরোপের মুক্তাঞ্চল শেনজেন এর প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত হাঙ্গেরি তার দক্ষিণ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করে। যারা এই সীমান্ত অবৈধভাবে পার হওয়ার চেষ্টা করবে তারা ফৌজদারি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। শাস্তি হিসেবে কারাদ- অথবা তাকে ফেরত পাঠানো হবে।

আইনটিতে শরণার্থীদের ঠেকাতে পুলিশকে বিশেষ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেনা মোতায়নের কথাও বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে সার্বিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে যে রেললাইন ক্রসিং পয়েন্ট দিয়ে হাজার হাজার মানুষ হাঙ্গেরিতে ঢুকছিল সেটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই