স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নীতি থেকে সরে দাঁড়াল যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত সমাধানে ইতোপূর্বের দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক নীতি থেকে সরে এসে ওই নীতি শিথিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউজের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষকেই সংঘাত সমাধানের উপায় নির্ধারণ করতে হবে। যদিও দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে বলে বক্তব্য দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত কয়েক দশক ধরে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সঙ্কট সমাধানের নীতি সমর্থন করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকের পর মি. ট্রাম্প নিশ্চিত করলেন যে, দুই দেশের মধ্যে সঙ্কট নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্রের ভিত্তিতে সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আর চাপ দেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি একটি ‘মহান’ শান্তি চুক্তি করবেন।
দ্বি-রাষ্ট্র নীতিই যে এগিয়ে যাবার একমাত্র পথ বলে তিনি মনে করেন না সেটি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরানো নিয়েও কথা বলেন মি. ট্রাম্প।
তিনি বলেন- “দুই রাষ্ট্র বা এক রাষ্ট্র যেটাই হোক, দুই পক্ষ যেটা পছন্দ করবে সেটাই আমি পছন্দ করবো। যে কোনটি হলেই হয়। বিবি (নেতানিয়াহু), ইসরায়েলিরা এবং ফিলিস্তিনিরা যেটিতে খুশি, তাতে আমিও খুশি। আর আমি দেখতে চাই যে দূতাবাস জেরুজালেমে সরানো হোক। বিষয়টি আমরা খুব যত্নের সাথে দেখছি”।

সংবাদ সম্মেলনে পাশে দাড়ানো মি. নেতানিয়াহুকে অধিকৃত এলাকায় বসতি নির্মাণ “কিছু সময়ের জন্য আটকে রাখার” আহ্বান জানান। মি. ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর তেকে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে হাজার-হাজার বসতি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।
হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতার কেউই ভবিষ্যতে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রের বিষয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিশ্রুতি দেননি।
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে দ্বি-রাষ্ট্রের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত জাতিসংঘ, আরব লীগ, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র দ্বি-রাষ্ট্র নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছিলো। সেই অবস্থান এখন শিথিল করলো যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : বিবিসি



মন্তব্য চালু নেই