সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষের পথে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষের পথে। এখন সেখানে চূড়ান্ত অভিযান চলছে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য আতিয়া মহলের আশেপাশে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বোমা বিস্ফোরণে নিহত আরও দুজনের মরদেহ সোমবার তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে মরদেহ দু’টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গ্রহণ করেন মোগলাবাজার থানার এসআই আব্দুস ছত্তার। পরে তিনি মরদেহ দু’টি তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
নিহত দু’জন হলেন- ছাতকের দয়ারবাজার এলাকার কাদিম শাহ এবং নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার শহীদুল ইসলাম। তারা দু’জন পরস্পরের বন্ধু এবং দুজনই নগরীর দাড়িয়াপাড়ায় প্রাইম লাইটিং এন্ড ডেকোরেটর্সে কাজ করতেন।
ওই ঘটনায় নিহত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনের মৃতদেহ গতকালই তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। নিহতরা হলেন- জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম, আদালত পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়ছর, ছাত্রলীগ নেতা জান্নাতুল ফাহমি ও অহিদুল ইসলাম অপু।
তবে কাদিম শাহ ও শহীদুল ইসলামের মৃতদেহ দু’টি গতকাল হস্তান্তর করা হয়নি। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম রোকন উদ্দিন জানিয়েছিলেন, চারজনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও রোববার দুজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়নি। তাদের ব্যাপারে আমাদের একটু খোঁজ খবর নেওয়া দরকার। তাদের পরিবারের সাথে আমরা আলাপ করবো।
নিহত দু’জন আত্মঘাতী জঙ্গি কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই রোববার মৃতদেহ দু’টি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
সোমবার হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ দু’টি গ্রহণকারী মোগলাবাজার থানার এসআই আব্দুস ছত্তার বলেন, মৃতদেহ দুটি তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে আমরা তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছি। তারা কেন সেখানে গিয়েছিলেন এবং ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ওই বিস্ফোরণে ছয়জন নিহতের পাশাপাশি অন্তত ৪৫ জন আহত হন।
জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে অভিযানের চতুর্থ দিন সোমবারও থেমে থেমে গুলি-বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে জানিয়ে সিলেটটুডের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই অভিযানের কারণে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন শৃংখলাবাহিনী। আতিয়া মহলকে ঘিরে এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পুলিশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হ্যান্ড মাইকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ ঘোষণার পর সাংবাদিকদের ওই এলাকায় ঢুকতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।
সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। পরে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এরপর থেকে ৯টা পর্যন্ত কোনো গুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে সাড়ে ১১টার পর থেকে আবারও থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই