সিরিয়ায় ধর্ষিতা হওয়ার বদলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন নারীরা

চারমাস পর পূর্ব আলেপ্পো আসাদ বাহিনীর হাতে আসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই বৃষ্টিমাখা পথ দিয়ে শ’য়ে শ’য়ে লাশ পেরিয়ে বিদায় নিতে শুরু করেছে বেঁচে যাওয়া মানুষজন।

সরকারি কবজায় থাকা পশ্চিমাঞ্চল বা এখনও বিদ্রোহীদের হাতে থেকে যাওয়া ছোটো জায়গাতে চলে যাচ্ছে তারা। বাকিরা থেকে গেছে ঘরে এবং অপেক্ষা করছে সিরিয়ান সেনার আগমনের। কিন্তু, সকলের মনেই আশঙ্কা আর উদ্বেগের দোলাচল। হয় গ্রেপ্তার হতে হবে তাদের বা বলপূর্বক যোগ দিতে হবে সেনাবাহিনীতে। অথবা মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।

আলেপ্পোর বাসিন্দারা জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের পরিবারের তালিকা তৈরি করেছে সিরিয়ান সেনা। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে, পরিবারে কোনও ছেলে জঙ্গিদের দলে নাম লিখিয়েছে কি না। না থাকলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, থাকলে তার পরিণাম, নৃশংস অত্যাচার। ধর্ষিত হচ্ছেন মহিলারা। শিশুদের জ্যান্ত কবর দেওয়া হচ্ছে অথবা দেখা মাত্রই গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে যুবকদের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অনেক মহিলাই ধর্ষিত হওয়ার আগে আত্মহত্যা করছেন বলে জানিয়েছেন ধৃত এক বিদ্রোহী।

রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর, সিরিয়ান ও ইরাকি সেনা মিলিতভাবে পূর্ব আলেপ্পোয় হত্যালীলা চালাচ্ছে। গত কয়েকদিনে আলেপ্পো ও তার আশপাশের জায়গাগুলিতে শিশু ও মহিলা মিলিয়ে ৮২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আলেপ্পোর পশ্চিমাংশের একটি ছোটো জায়গায় এখনও কয়েকজন বিদ্রোহী রয়ে গেছে। তাদেরই একজনের দাবি, তাঁর পরিচিত দু’টি পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছে সিরিয়ান সেনা। রাষ্ট্রসংঘের কাছে খবর, বিদ্রোহী অধ্যুষিত জায়গাগুলি থেকে পালাতে গিয়ে ১০০-রও বেশি যুবক ধরা পড়েছে সেনাবাহিনীর হাতে।

আসাদ বাহিনীর বিরোধীরা ইতিমধ্যেই সেনার বিরুদ্ধে অত্যাচার এবং জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে যোগদানের অভিযোগ তুলেছে। যদিও সরকারি সূত্রে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই