সংবিধান সংশোধন করবেন সু চি

মিয়ানমারের শাসন ব্যবস্থা সামরিক জান্তা সরকার প্রণীত ২০০৬ সালের সংবিধান অনুযায়ী চলে আসছে। এই সংবিধান নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচি। এই সংবিধানের কারণেই বিপুল ভোটে দলের জয়ের পরও প্রেসিডেন্ট হতে পারেন নি তিনি। আর এ কারণেই হয়তো সংবিধানের ওপর তার তীব্র আক্রোশ রয়েছে। এরই প্রতিফলন দেখালেন সু চি।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক ভাষণে সংবিধান সংশোধনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সু চি। সু চির দাবী তিনি এমন একটি সংবিধান চান যা দেশটিতে প্রকৃত গণতন্ত্রের সূচনা করবে। খবর এপির।

দীর্ঘ পাঁচ দশকের সামরিক শাসনের পর দেশটিতে গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি। সু চির দলের জয়ের পরেই দেশটিতে প্রথম গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। নতুন এই গণতান্ত্রিক সরকারে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন সুচি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষা এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রেসিডেন্টের দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবেও নিযুক্ত হয়েছেন সুচি। তবে এত কিছুর পরও কিছু আক্ষেপ হয়ত রয়েই গেছে সু চির মনে। সেটা মুছে ফেলতেই হয়তো সংবিধানে পরিবর্তন আনতে চাইছেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই